*হারাজা কাব্য ভালবাসতেন। শিল্পও তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। কবিদের তিনি বড়ই ভালবাসতেন, তাঁদের কদর করতেন। ভালবাসলে কাছে পেতে মন চায়। মহারাজাও কবিদের কাছে পেতে চাইলেন। তাঁর মহার্ঘ অলঙ্কারসমৃদ্ধ হস্তধৃত হয়ে কবিরা যৎপরোনাস্তি আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন। তাঁরা যেন বেঁচে গেলেন। শুধু তাঁরা জানলেন না কবে কখন তাঁদের কাব্যের মৃত্যু হল। যে-কজন কবি মহারাজের আঙুল গলে পড়লেন, তাঁরা মরলেন কিন্তু তাঁদের কাব্য বাঁচল। সেই রাজহস্তধৃত কবিরা তাঁদের কাব্যকীর্তি দিয়ে মহারাজাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেন। তিনি বুঝলেন রাজপোষ্য কবিরা সামান্য চাটুকারিতা ছাড়া উপাদেয় কিছুই উৎপন্ন করতে পারে না। তিনি হস্ত উপুড় করে তাঁদের ফেলে দিতে চাইলেন কিন্তু তাঁরা আঁকড়ে ধরে থাকলেন। কেউ আবার রাজহস্তধৃত হয়ে প্রাণহীন বেঁচে রইলেন। এঁদের রাজবন্দনা তাঁর কাছে অসহ্য হয়ে উঠল। কেন বেঁচে আছি? না থাকলে কার কী হবে? কোথা থেকে এসব চিন্তা এসে তাঁকে ভারাক্রান্ত করল। তাঁর এই সব প্রশ্নের এমন কোনও সদুত্তর তিনি পেলেন না যা তাঁকে সংসারে যে ভাবে আছেন সেই ভাবে থেকে যেতে উৎসাহিত করতে পারে। মহারাজ বৃদ্ধও হয়েছিলেন। সংসারের আড়ম্বর, আভিজাত্য, অনুযোগ অভিযোগ সর্বোপরি দৈনন্দিন পৌনঃপুনিকতা শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবনকে ক্লান্ত করে তুলল। যেন বসিয়ে রাখল দিনক্ষয় দেখানোর জন্য। শেষে একদিন একমাত্র পুত্রের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে মহারাজা আর রানিমা বানপ্রস্থে গেলেন। কিন্তু মহারাজের কাব্যপ্রীতি উৎকৃষ্ট মূল্যে দেশে-দেশান্তরে বিক্রিত তল।
Denne historien er fra April 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra April 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।