কোমোডাস গ্ল্যাডিয়েটর নামের অস্কার পাওয়া একটা ছবির কথা মনে পড়ে গেল সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আর চার্ণক চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় কোমোডাস নাট্যটি মধুসূদন মঞ্চে দেখতে বসে। গ্রিক পুরাণ বা ইতিহাস নিয়ে নাটক দেখা গেলেও রোমান ইতিহাসের ঘটনা নিয়ে খুব কমই নাটক বাংলা মঞ্চে দেখা যায়। তাই শোভাবাজার প্রতিবিম্ব-কে এই প্রযোজনাটির জন্য সাধুবাদ জানাতে হয়। তবে সেই সঙ্গে এও বলতে হয় যে, একটি ছোট দলের পক্ষে এই প্রয়াস খুবই এক অ্যাম্বিশাস প্রোজেক্ট, সাহসীও বটে।
এই প্রায় সাড়ে আঠারোশো বছর আগের রোমান ইতিহাসের কোন সূত্র থেকে সুমন্ত্র এই নাটকটি লিখেছেন তা উল্লেখিত না হলেও রোমান সম্রাট কোমোডাসের কাহিনিটি তিনি গুছিয়ে বলেছেন তাঁর এই প্রায় আড়াই ঘণ্টার নাটকে। সেই সময়ের রোমান ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা যেমন বর্ণিত হয়েছে ঘটনা পরম্পরায়, তেমনই মূল চরিত্র কোমোডাসের পাশাপাশি তাঁর বড় বোন লুসিলিয়া বা রোমান
সেনেটর কুইনটিয়েনাস বা ক্যাসিয়াস, অথবা সম্রাটের পার্ষদ ক্লিয়েন্ডার বা পরিচারিকা মার্সিয়ার মতো বেশ কয়েকটি চরিত্রের মাধ্যমে নানান ষড়যন্ত্র, নানান হত্যাকে দেখিয়ে নাটকের চলনকে নাটককার একটা গতি দিয়েছেন। যদিও স্ক্রিপ্টটিকে আরও বেশ কিছুটা সম্পাদনা করে নাট্যের সময়টিকে সংক্ষিপ্ত করা যেত। চার্ণকের নাট্যনির্মাণ প্রশংসা পাবে তাঁর সামগ্রিক পরিকল্পনার জন্য। মঞ্চ স্থাপত্য বা আলো অথবা আবহর কোনওটাতেই কোনও কার্পণ্য ছিল না। বিলু দত্তর মঞ্চ একটি সুঠাম অথচ বাহুল্যবিহীন কাজ আর অন্যদিকে সৌমেন চক্রবর্তীর আলোর ডিজ়াইনেও ছিল না কোনও অত্যুক্তি। স্বপন বন্দ্যোপাধ্যোয়ের সঙ্গীত সঠিক আবহ তৈরি করতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় চার্ণক নির্মিত কয়েকটি নাট্যমুহূর্তে আবহ এবং ব্যাকলাইটের কাজ যা, দর্শকের মনে থেকে যায়। ভাল লাগে নিখুঁত পরিকল্পনায় দৃশ্যান্তরের শিফটিং-এর কাজগুলি। মূল কয়েকটি চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন কোমোডাসের ভূমিকায় চার্ণক নিজে, লুসিলিয়া করেছেন সৌমি ঘোষ, কুইন্টিয়াস করেছেন অমিত রায়, স্বপ্নদীপ চক্রবর্তী করেছেন। ক্লিয়েন্ডার, মার্সিয়া করেছেন সৌমিতা বোস।
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।