সম্প্রতি ছবি ও ঘর গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শুভাপ্রসন্নর বেশ কিছু গ্রাফিক প্রিন্টের একটি প্রদর্শনী। প্রথমেই চি ত্ৰ কলা যেটা বলে নিতে হবে তা হল, শুভাপ্রসন্নর ছাপাই ছবির সঙ্গে আমরা অনেকেই সেভাবে পরিচিত নই—বিশেষত এখনকার প্রজন্ম তো নয়ই। অথচ ছাপাই ছবির ক্ষেত্রে এক কালে রীতিমতো খ্যাতি ছিল তাঁর। শুভাপ্রসন্নর ছবি বলতেই তাঁর যে-সিগনেচার স্টাইল আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, তার সঙ্গে এই সব কাজের একটা স্পষ্ট সংযোগ রয়েছে, বিষয় ও ট্রিটমেন্ট, এই দুইয়ের নিরিখেই। ফলে এই প্রদর্শনীর গুরুত্ব দ্বিবিধ। শিল্পীর যে-সিদ্ধির খবর আমরা আজ আর সেভাবে রাখিনি, চোখের সামনে তার বিস্তার দেখতে পাওয়া দর্শকের এক চমৎকার প্রাপ্তি। অন্য যে বিষয়টি, সেটিও নেহাত কম জরুরি নয়। প্রদর্শনীটি খুঁটিয়ে দেখলে শুভাপ্রসন্নর দীর্ঘ ও বিবর্তিত শিল্পপথ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হওয়াও সম্ভব। তার একটা মূল কারণ হল কাজগুলির সময়কাল। এখানে বেশ কিছু ছবি কয়েক দশক আগের, সত্তরের দশকের শেষদিকের কিছু কাজও চোখে পড়ল। অর্থাৎ যে-সময়ে শিল্পী তাঁর প্রকৃত আত্মপ্রকাশের জন্য তৈরি হচ্ছেন, ক্রমশ গড়ে উঠছে তাঁর একেবারে নিজস্ব স্টাইল, সেই সময়টি আংশিক ভাবে ধরা রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। পাশাপাশি রয়েছে কিছু প্রায়-সাম্প্রতিক কাজও। ফলে শিল্পীর নিজস্ব শিল্পপথের বিবর্তনের ইতিহাসই শুধু নয়, সময়ের বহমান স্রোত কিভাবে ধীরে নির্ণয় ও নির্মাণ করে একজন সৃজনশীল মানুষের সাবজেক্টিভাইজেশন, খানিকটা তাত্ত্বিক দৃষ্টিতে তা নিরীক্ষণ করাও সম্ভব।
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।