প্রশ্ন: গগন পাইকের লেখা ‘পলায়নের মহাকাব্য' ছোটগল্প অবলম্বনে নিতাই চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নিজের ভাষায় লেখো। [ উত্তর: নারী পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে পলায়নের মহাকাব্য' গল্পটি রচনা করেছেন গগন পাইক। এই গল্পের প্রধান চরিত্র দু'টি। একজন কাজল। গল্পে উপস্থিত না থেকেও যে রয়েছে প্রবল ভাবে। অন্যজন নিতাই। তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য কী, তা এখানে উল্লেখ করা হল।
কিছু মানুষ হয়, যারা জীবন সম্বন্ধে উদাসীন। তাদের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিতান্তই সীমিত। আবার কিছু মানুষকে দেখা যায়, যারা জীবনের যাবতীয় প্রাপ্তিকে শুষে, নিংড়ে উপভোগ করে। গল্পের নিতাই এই দ্বিতীয় গোত্রের। গ্রামের মেলায় সে নিয়ে গিয়েছিল তার প্রথম স্ত্রী কাজলকে। নিতাই ফুচকা খাওয়ার পর শালপাতার বাটিখানা চেটে চেটে তবে ছুড়ে ফেলে। জীবন সম্বন্ধেও তার দৃষ্টিভঙ্গি এইরকমই।
কাজলের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল। মোটে আট মাস। পরের বছর এই মেলা যখন বসল, তখন তার সংসার ছেড়ে কাজল চলে গেছে। তাও একা-একাই মেলায় ঘুরতে যায় নিতাই। এবার খুঁজেও সেই ফুচকাওয়ালাকে দেখতে পায় না। এমনকি, মেলার সেই জায়গায় কোনও ফুচকার দোকানই বসেনি, বসেছে মনিহারির দোকান। গগন পাইক লিখেছেন, ‘ভিড়ে, হট্টরোলের মধ্যে মেলার বড় ছাতিমতলায় এসে থেমে যায় নিতাই। মনে পড়ে নব দাম্পত্যের সুপবন বুকে ভরে নিয়ে সে
আর কাজল গতবার এইটুকুই এসেছিল। তার পরই বিদ্রোহ করেছিল কাজলের জুতো। ফিরে গিয়েছিল তারা। মেলায় কাজলের স্মৃতি এই ছাতিম গাছের নীচেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিচলিত হল নিতাই। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিল একবার। তার পর এগিয়ে চলল। বাকি সব দোকান, তার পসরা, তার দোকানি, আর ভিড়ের দৃশ্য দু'চোখে না গিললে তার শান্তি হবে না।' ফেরার পথে ছাতিম গাছ আর সে খেয়ালও করেনি। সম্ভবত জীবনাসক্তির প্রবল শক্তিতে অন্য অন্য গন্তব্যে ঢুঁ মারতে গিয়ে সে ক্ষণিকের জন্য ভুলতে পেরেছিল বউ পালানোর দুঃখ।
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।