বিকেলের হলুদ আলো যখন বাঁশবাগানের মাথা ছুঁয়ে যায়, আধপাগল স্তব্ধ করে দিয়ে, এক টানা কথা বলে মিলি। বিকেলের আলো মুছে সন্ধ্যা পেরিয়ে অন্ধকার দেখা দেয়। শেষ ট্রেনের হুইসল শোনার পর গ্রামে রাত নামে। মোড়ের আড্ডা শেষে যে-যার বাড়ির পথে এগোয়। আস্তে আস্তে আলো নিবতে থাকে আর জোনাকিরা জ্বলে নিজের খেয়ালে। মানুষের গলার শেষ আওয়াজ বিলুপ্তির পর ঝিঁঝি পোকারা ডাকতে শুরু করে। বাড়ির কার্নিসে বেড়ে ওঠা বটগাছটায় ফিরে আসা পাখিরা নিজেদের ডানায় শরীরটাকে মুড়ে নিশ্চুপে ওম পোহায়, আমি তার মৃদু পায়ের শব্দ শুনতে পাই। দিঘির ঘাটটার দিক থেকে বাঁধানো পথ দিয়ে ভাঙা দেউড়ি পেরিয়ে সে বড় উঠোনটায় প্রবেশ করে। সেখানে ধুলো জমে থাকা জলশূন্য চৌবাচ্চার মধ্যেকার ভেঙে পড়া পরির স্ট্যাচুটার দিকে তাকিয়ে এক মুহূর্তের জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। তার পর দীর্ঘ বারান্দা পেরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে আসে। এক-এক করে জানালা দরজাহীন ঘরগুলো পেরিয়ে শেষ ঘরটায় আমার কাছে আসে। আমি আলো নিবিয়ে রাখি। আমার দরজা ভেজানো থাকে। দরজায় আওয়াজ না করেই সে ভিতরে প্রবেশ করে। বাতাসে তার গায়ের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ওর গায়ে আমি পদ্মফুলের সৌরভ পাই। ঠিক যেমনটি আমার ছোটবেলায় আমার মায়ের গায়ে পেতাম চাঁপাফুলের গন্ধ। মিলির শরীরের পদ্মফুলের গন্ধ আমার চতুর্দিকে ভেসে বেড়ায়, চুড়ির মৃদু আওয়াজ ওঠে। আমি চোখ বন্ধ করে অনুভব করি। আমার আরাম কেদারার খুব কাছে এসে সে থেমে যায়। শরীরের উষ্ণতায় আমাকে অভ্যর্থনা করে। আমার কোল ঘেঁষে বসার পর কথোপকথন শুরু হয়। সে আমাকে হাত ধরে নিয়ে যায় উপরের ছাদে। সাদা জ্যোৎস্নায় ভিজে
পাশাপাশি শুয়ে আকাশ দেখি। অসংখ্য তারা বহু দূর থেকে আমাদের দেখে। দু'জনে অনর্গল কথা বলি। সব কথা শেষ হলে নীরবতায় একে অন্যকে অনুভব করি। রাত বাড়ে। দূরে কোথাও পেঁচা ডাকে অথবা রাতজাগা পাখি । আমি চমকে উঠি। তাকে স্পর্শ করি। উষ্ণতায়, নির্ভরতায় ঘন হয়ে উঠি। ক্রমশ রাত শেষ হয়। হিমের গুঁড়ির মতো আলোক বিন্দু জমা হতে শুরু করে পুব আকাশে। সে বিদায় নেয়। যাওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের মতো বুক ভরে তার আঘ্রাণ নিই। ও চলে যাওয়ার পর বাতাস আর্তচিৎকার করে আমার উপর আছড়ে পড়ে। হিমশীতলতা নেমে আসে চতুষ্পার্শ্বে। দ্রুত পায়ে নেমে চলে যাই আমার বিছানার নিরাপদ আশ্রয়ে। পুবের আকাশ রক্তবর্ণ হওয়ার আগেই চোখে নেমে আসে ঘুম।
Denne historien er fra July 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।