শেষ কবে তাঁর নাম উঠে এসেছিল। আমাদের আলোচনায়? স্মরণে আসে না। এটাই বিস্ময়, কারণ আজকের ছায়াচ্ছন্ন সময় নিয়ে এই সেদিনও তিনি কলম ধরেছিলেন। মাত্র ১৩ বছর আগেও মানুষটি জীবিত ছিলেন। বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স দাঁড়াত একশো।
পুরো নাম অম্লানকুসুম দত্তগুপ্ত। নিজেই নামটিকে সংক্ষিপ্ত করে নিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে যোগ দিলেন তখন সেই বিভাগে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক। যাঁরা অম্লান দত্তকে গান্ধীবাদী অর্থনীতিবিদ বলে দাগিয়ে রেখেছেন তাঁরা হয়তো জানেন না, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে তিনজন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ সম্বন্ধে তাঁকে পড়াতে হত তাঁদের একজন ছিলেন কার্ল মার্ক্স। তাঁকে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গেই ‘মহাপণ্ডিত' বলে উল্লেখ করেছেন। একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, “সাম্যবাদী আদর্শের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার সহানুভূতি আছে।” তবে, কখনওই নিজেকে মার্ক্সবাদী বা কমিউনিস্ট হিসেবে দাবি করেননি, যদিও ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন। আরও বড় কথা, এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গান্ধী বা রবীন্দ্রনাথের অনেক ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও তিনি নিজেকে কখনও গান্ধীবাদী বলে দাবি করেননি। মার্ক্সবাদের গোঁড়ামি নিয়ে যেমন, তেমনই গান্ধীর নানা চিন্তা-ভাবনার সমালোচনা করেছেন মুক্তকণ্ঠে। কারণ, তাঁর কাছে সব সময় প্রাধান্য পেয়েছে বাস্তবতা এবং যুক্তি। ১৯২৪ সালের ১৭ জুন কুমিল্লায় জন্ম হয়েছিল তাঁর। বাবা অশ্বিনী দত্তগুপ্ত এবং মা সুনীতিবালা। কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালায় লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম, সেখান থেকেই অর্থনীতিতে সসম্মানে এম এ পাশ করেন। তারপরই অধ্যাপনা, ১৯৪৬-এ আশুতোষ কলেজে, ১৯৪৮ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
Denne historien er fra August 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।