• 'বাহুবল' শিরোনামে প্রকাশিত (প্রচ্ছদকাহিনি, ২ অগস্ট ২০২৪) নিবন্ধগুলি পাঠককে একাধারে বিচলিত ও হতোদ্যম করে তুলতে বাধ্য। স্বাধীনতা-উত্তর কালে দেশে ও রাজ্যে রাজনীতির কারবারিদের প্রচ্ছন্ন মদতে একাধিক বাহুবলীর উত্থান 'হল অফ ফেমএ জায়গা করে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বর্তমান শাসক দলের মতো সরাসরি গুন্ডারাজের পৃষ্ঠপোষকতা করতে অতীতে কাউকে করতে দেখা যায়নি। লুম্পেন, গুন্ডা, মস্তানদের নাম পাল্টে ‘সিন্ডিকেট অপারেটর, ‘তোলাবাজ' বা 'বাহুবলী প্রোমোটার' হয়েছে। এদের গলায় মোটা সোনার চেন, দু'হাত জোড়া স্বর্ণ-অঙ্গুরীয়, বাহন এসইউভি ও মুঠোয় ধরা বহুমূল্য ফোন। রাজনৈতিক প্রভুর কাছে অবারিত দ্বার, থানার পুলিশ সসম্ভ্রমে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, পাড়ার একাধিক পুজোর মুখ্য পৃষ্ঠপোষক এবং রক্তদান শিবিরে বিশিষ্ট সমাজসেবী ব্যক্তি হিসেবে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করে থাকেন। তাঁদের কেউ কেউ আবার শাসক দলের ব্লক সভাপতি বা যুব নেতা। শিক্ষকের চাকরি চুরির কেসে তাঁদের কেউ কারান্তরালে বিচারাধীন বন্দি, গরুপাচার কেসে গ্রেফতারি এড়াতে কেউ আবার রাজ্যবাসীর কাছে প্রায় অচেনা ‘ভানাটু’ নামক ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিক।
রাজনীতিতে লুম্পেনরাজের আমদানি কংগ্রেসের আমলে জাতীয় জরুরি অবস্থার ফসল। পুলিশ, সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নকশাল দমন ও বাহাত্তরে ছাপ্পা ভোটের কারিগররা পরবর্তী কালে সঞ্জয় ব্রিগেডের কিষ্কিন্ধ্যাবাহিনীর উজ্জ্বল রত্ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বঙ্গভূমিকে ভাবীকালের সংঘর্ষভূমির জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দেয়। নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায় তাঁর আত্মকথায় মন্তব্য করেছেন, 'কংগ্রেসের সবচেয়ে অপরিণত পশ্চাদপদ অংশ, সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল এবং হিংস্র অংশটি মমতাদেবীর দলে যোগদান করে।' আজকের সাজাহান, তাজিবুল ইসলাম (জেসিবি), জয়ন্ত (জায়ান্ট সিংহ), জামাল সর্দার, টাইগাররা তাদেরই উত্তরসূরি। রাজশেখর দাশ, কলকাতা - ৭০০122
Denne historien er fra August 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।