প্রেসিডেন্সি কলেজ। ১৯৬১ সাল। ভর্তি হয়েছিলাম ফিজিয়োলজি বিভাগে। অভিভাবকদের সিদ্ধান্ত ছিল, আমাকে ডাক্তার হতে হবে। কিন্তু প্রাক্মেডিকেলে প্রবেশের প্রয়োজনীয় বয়সের অনেকটা আগে আমার চুকে গিয়েছিল স্কুলের পাট। তাই প্রেসিডেন্সিতে কতকটা অনুপ্রবেশ। বয়সের তফাত মধ্য বা বৃদ্ধ বয়সে যত না বোঝা যায়, সে বোধ অনেক তীক্ষ্ণ থাকে প্রথম যৌবন বা শেষ কৈশোরে। ফলে সহপাঠীরা আমাকে বিশেষ পাত্তা দিত না। অনার্স বিভাগের কয়েকজন সহপাঠিনী তো আমাকে যখন তখন সেই তিনতলা ভেঙে আর্টস বিল্ডিং পেরিয়ে বাইরে গিয়ে সিগারেট নিয়ে আসতে হুকুম দিত!
অন্যান্য বিভাগের ছাত্রদের মধ্যে যে কয়েক জনের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও কমন রুম বা করিডরে ‘এই যে, কী খবর' বলার মতো সম্পর্ক হল, তাদের এক জন বুদ্ধদেব। বাংলা অনার্স। মুখচোরা ছেলে কিন্তু চোখে প্রখর ঔজ্জ্বল্য। কলেজে প্রায়ই আসত খাকি প্যান্ট ও সাদা হাফশার্ট পরে। তার বিষয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য হলেও খুব আগ্রহ ছিল বিদেশি উপন্যাসে। এক দিন তার পরামর্শেই আমি যেন কোথা থেকে জোগাড় করে পড়লুম কাফকা-র গা-হিম করা গল্প 'মেটামরফোসিস'। পর দিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'আচ্ছা, তোমার কী মনে হয় আমরা সবাই একদিন গ্রেগর-এর (গল্পের নায়ক) মতো আরশোলা হয়ে যাব?” বুদ্ধর জবাব এখনও যেন কানে বাজছে—‘হয়ে যাব কেন বলছ? হয়ে গেছি।' কথা উঠেছিল কেন গ্রেগরের এই পরিণতি হল? আঠারো বছরের তরুণটির গলা একটও কাঁপল না যখন সে বলল, 'ডমিনেশন'।
Denne historien er fra August 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।