'মা, কুস্তির কাছে আমি হেরে গেলাম। আমাকে ক্ষমা কোরো। তোমার স্বপ্ন, আমার সাহস সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর শক্তি বাকি নেই।'— বিনেশের এই কাতর আর্তি আমাদের নাড়া দিলেও আমরা বিশ্বাস করি তাঁর শরীর নিংড়ানো শক্তিতেই জ্বলে উঠবে ভারতীয় ক্রীড়াসংস্কৃতির আশার আলো। অলিম্পিক্সের পদক তালিকার শত শত নামের ভিড়ে কখনও মিশে যাবে না বিনেশ ফোগত নামটি। বরং থেকে যাবে সত্য, ন্যায় আর জয়ের প্রতীক হয়ে।
রিও অলিম্পিক্স থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন চোটের কারণে। টোকিয়োয় অতি-সাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁর প্রতি আমরাই উগরে দিয়েছিলাম অভিযোগ আর অবহেলা। অধরা ছিল স্বপ্ন। প্যারিসেও স্বপ্নভঙ্গ। কিন্তু এবারে তাঁর অ-সাধারণ পারফরম্যান্স এক নিভৃত সাধনার উপাখ্যান হয়ে থাকবে চিরকাল। বিনেশের দাপটের কাছে নাস্তানাবুদ হলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী ইউ সুজ়াকি। অনায়াসে পৌঁছোলেন ফাইনালে। সোনা জেতার মানসিক প্রস্তুতি তখন তুঙ্গে। কিন্তু রাত পোহাতেই কোটি কোটি ভারতবাসীর প্রত্যাশা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। প্যারিস অলিম্পিক্সে পঞ্চাশ কেজি ওয়েট ক্যাটেগরিতে তিনি খেলেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে নামার আগে তাঁর ওজন পঞ্চাশ কেজির বেশি ছিল। একশো গ্রাম ওজনের অতিরিক্ত হওয়ায় ভারতীয় আবেগ ছিটকে গেল সোনালি সাফল্যের দোরগোড়া থেকে। আর দেশজুড়ে সুনামির মতো আছড়ে পড়ল ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব' !
Denne historien er fra August 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।