ইতিকথা শুধু ভারতে নয়, বিশ্বের ইতিহাসে লেখা থাকবে ২০২৪ সালের ১৪ অগস্টের কথা। কলকাতা থেকে গ্রাম, সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছে ডাক, ‘মেয়েরা রাত দখল করো।' কোনও এক মেয়ে সেই রব তুলেছিলেন আন্তর্জালের অঙ্গনে, অবশিষ্ট মেয়েদের বুকের ভিতর মাথা কুটছিল সেই আহ্বানের অপেক্ষা। অল্প সময়ের মধ্যেই এই স্লোগান সকল নারীর নিজের ভাষা হয়ে উঠেছিল। দেশের স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত্রে বয়ঃক্রম, সামাজিক অবস্থান, এবং আরও সব শ্রেণিবিভেদ একেবারে মিশিয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মেয়েরা, অগণিত নির্ভীক মেয়েরা, নেমে এসেছিলেন পথে, মাঠে, যে-কোনও খোলা জায়গায়। বহু বিবেকবান পুরুষও শামিল ছিলেন এই মধ্যরাতের অভিযানে। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, কোনও বিখ্যাত ব্যক্তি নন, কেউ এই সমাবেশে, এই মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এমনটাও নয়, এই অভিযান সর্বদলের, সর্বজনের, সর্বসাধারণের। এই সমাবেশ নিরস্ত্র, কিন্তু শক্তিময়ী। ঐক্যবদ্ধ, প্রতিবাদী, আত্মনিয়ন্ত্রিত।
এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদী সমাবেশ মনে করিয়ে দিয়েছে ঊনবিংশ শতকে সমাজে নারীর ও পুরুষের সমানাধিকারের দাবি, ভোটাধিকার আন্দোলন, যার ব্যাপ্তি ছিল সারা ইউরোপ ও আমেরিকায়। এই অধিকার আদায়ের জন্য নারীকে প্রাণ দিতে হয়েছে, কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছে, সমাজে ও পরিবারে ঘৃণা ও ব্যঙ্গ সইতে হয়েছে। নারীর স্বাধিকার ও সম্মানের বিষয়ে প্রথম যে-কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হয়েছিল আমেরিকায়, সেই এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যানটন অনুমান করেছিলেন, তাঁদের ন্যায্য দাবিগুলির অপব্যাখ্যা হতে পারে, এবং হয়েছিলও তাই। কিন্তু স্ট্যানটন ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গিনী যে-আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন, তা ব্যর্থ হয়নি, বরং ক্রমাগত ছড়িয়ে গিয়েছে, ব্যাপ্ত ও গভীর হয়েছে।
সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্বের গবেষক মার্গারেট মিড বলেছিলেন, 'মাত্র কয়েকজন সুচিন্তক, আত্মনিবেদিত ব্যক্তি যে দুনিয়া বদলে দিতে পারে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বস্তুত, এরকমটাই হয়ে থাকে।' ন্যায় প্রতিষ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ অগস্টে রাতদখলের আহ্বান মিডের উক্তি মনে করিয়ে দেয়।
Denne historien er fra September 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।