এই পশ্চিমবাংলায় শরৎ উৎসবের ঋতু। গোড়ায় খানিক ঝিমুনি ভাব থাকলেও বিশ্বকর্মা পুজোর সময় থেকে উৎসবের আলোর ছটা ও বাজারে কেনাকাটার ঘটা পুজো-পুজো সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যান্য বারের চেয়ে খানিক বিলম্বে, এই যা। তবে গভীর শোকের পর ক্রমে স্বাভাবিক চাহিদার কাছে ফিরে যাওয়া অন্যায় কিছু নয়। তাই বলে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে, যে-নারকীয়তা সারা রাজ্য শুধু নয়, দেশ শুধু নয়, বাইরের দেশের নাগরিকদের পর্যন্ত বিচলিত করেছে, তার রেশ এই উৎসব মুছিয়ে দিতে পারবে। শোকাহত মনে ওই যে উৎসববিমুখ ঝিমুনি, সে হল দ্বিধাগ্রস্ত বিপন্নতা।
বিবেকের বিচারশালায় নিরন্তর চলতে থাকা সওয়াল-জবাব। তা থেকে যারা নিজেদের মুক্ত রাখতে পেরেছে, তারা মুক্তমানবমানবী। ইহজগতে থাকলেও তারা স্বর্গবাসী।
অগস্ট ৯ তারিখের মধ্যরাতে, আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের ভিতর, কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের বীভৎস ধর্ষণ, ন্যক্কারজনক অসম্মান, মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের পর বিমূঢ় পশ্চিমবঙ্গবাসী উৎসবের কথা ভাবতেও লজ্জা পাচ্ছিল। এই বর্বর, অমানুষিক, হৃদয়হীন, শ্রীহীন রাজ্যে তখন আসন্ন উৎসবগুলির চেয়ে অনেক বড় হয়ে দেখা দেয় নিরাপত্তাহীনতার নিঃসীম অন্ধকার ও হতাশা। ওই তরুণী চিকিৎসক নিজের হাসপাতালে, নিজের বিভাগে, বন্ধুদের সঙ্গে খাবার খেয়ে, নাইট ডিউটির কাজে ব্যাপৃত হওয়ার মাত্র একঘণ্টা বা তার খানিক আগে-পরে, অকথ্য অত্যাচারের শিকার হলেন, কেউ সামান্য শব্দ পেল না! তাঁকে প্রায় ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হল, কেউ জানতেও পারল না! তাঁর সারা দেহে আঘাতের বহু চিহ্ন, তাঁর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত, বীভৎস ভাবে ধর্ষিত হয়ে যৌনাঙ্গ থেকে প্রবাহিত রক্ত, সম্পূর্ণ অজ্ঞাত থেকে গেল সুদীর্ঘ সময়? যে বা যারা এই জঘন্য কাজটি করল, তারাও হয়ে গেল অদৃশ্য?
হায়, যতক্ষণ তিনি জীবিত ছিলেন, তাঁকে এবং সকল চিকিৎসক, অন্যান্য কর্মী ও রোগী বা রোগিণীদের নিরাপত্তা প্রদানের কথা ছিল ওই হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দের, তাঁরা অক্ষম। তাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন। একজন নাগরিক হিসেবে তাঁকে এবং তাঁদের সবার নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব ছিল প্রশাসনের, তাঁরা ব্যর্থ। তাঁরা উদাসীন, অমানবিক, বেপরোয়া।
Denne historien er fra October 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra October 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।