এক আজন্ম লালিত অভীপ্সা ছিল রাজারানির দেশ দেখার। রাজতন্ত্রকে হাতিয়ার করেও কী করে উন্নত, সভ্য দেশ হওয়া যায়, গণতান্ত্রিক নাগরিক হিসেবে তা-ই জানার ইচ্ছে ছিল ষোলোআনা। প্রাচুর্যের মহাদেশ আমেরিকা আমায় টানত না, যতটা টানত ভিক্টোরিয়া নিয়ন্ত্রিত দেশ। ইতিহাসের ছাত্রী হিসেবে রোম, জার্মানি, বেলজিয়ামের আকর্ষণও ছিল অপ্রতিরোধ্য। তবে ইচ্ছে আর সঙ্গতির মেলবন্ধন তো সহজ কথা নয়। তাই অবসর গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে দেশভ্রমণে বেরিয়ে পড়ব... এই ছিল সিদ্ধান্ত। বয়স চল্লিশের কোঠা পেরতে না পেরতেই রেলকর্মী স্বামীর দৌলতে সমগ্র ভারত পরিক্রমা মোটামুটি শেষ। পায়ের তলায় সর্ষে, বাঙালি বলে কথা। তবু ইউরোপ যাওয়া তো মুখের কথা নয়! অর্থ, ছুটি, শারীরিক সক্ষমতা সবকিছু একসঙ্গে চাই। কোনও পরিকল্পনা ছিল না। এখনই, তবু হঠাৎই প্রিয় দাদার অকাল প্রয়াণে জীবনসঙ্গী বললেন, ‘কে জানে ক'দিনেরই বা জীবন। চল, বেরিয়ে পড়া যাক।' গত বছরের শুরু থেকে শুরু হল আমাদের জোরদার পরিকল্পনা। বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু হল। যাবই যখন, ছোটখাট নয়, গ্র্যান্ড ইউরোপ ট্যুর করব অর্থাৎ মোট নয়টি দেশ দেখে আসব। বারবার তো যাওয়া হবে না। তাই উনিশ দিনের ভ্রমণই করা হবে, মনস্থ করলাম। কোনও সংস্থা দুপুরে ভারতীয় খাবার দেবে, কেউ বা হোটেলের রাজকীয় প্রাতরাশের পর হালকা টিফিন, আবার কেউ লাঞ্চ বাবদ ইউরো হাতে দেবে। সকলেই থ্রি স্টার বা ফোর স্টার হোটেলের সুব্যবস্থার অঙ্গীকার করলেন। আমরা ইন্টারনেট ঘেঁটে অনেক দেখেশুনে কথাবার্তা বলে একটি ভ্রমণ সংস্থা মনোনীত করলাম। আড়াই লক্ষ মাথাপিছু খরচ।
দুই হিথরো এয়ারপোর্ট থেকে বাইরে পা দিয়ে চোখ জুড়িয়ে গেল। সবুজের এমন সমারোহ! রবিবার বলে ভিড়, গোলযোগ কিছুমাত্র নেই। পরিচ্ছন্ন চওড়া রাস্তা, গথিক স্টাইলের একরকমের সুন্দর বাড়ি, ফাঁকা ফাঁকা ডবলডেকার এসি বাস আর প্রচুর বিদেশি গাছ। কোনওটির পাতা লাল, কোনওটি সবুজ। নিত্য তত্ত্বাবধান করা হয় বোঝা গেল। শহরটির আভিজাত্য মুগ্ধ করল। মানুষজনেরাও মোটেই উন্নাসিক নয়। প্রত্যেকে যাতায়াতের পথে আমাদের দিকে চেয়ে হাসছে, হাত নাড়ছে। আমরাও প্রত্যুত্তরে হাসছি। একজন যুবতী তো যেচে এসে আলাপ করলেন, ‘ফ্রম হোয়ার হ্যাভ ইউ কাম?' অতি কষ্টে তার অ্যাকসেন্ট বুঝে উত্তর দিলাম, ‘ইন্ডিয়া'।
Denne historien er fra August 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
‘উত্তমকুমার দুঃখে কেঁদে ফেলেছিলেন’
মহানায়ক ছিলেন তাঁর বিয়ের বরকর্তা। তাছাড়াও বিভিন্ন ছবিতে নায়ক নায়িকার ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাই তিনি খুবই কাছ থেকে দেখেছেন উত্তমকুমারকে। মজা করতেন, খেপাতেন তবু মহানায়ক কখনও রুষ্ট হননি তাঁর আচরণে। উত্তমকুমারকে নিয়ে নানা ব্যক্তিগত ঘটনার কথা জানালেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘প্রতিভাকে ঘষেমেজে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন উত্তমদা’
মহানায়কের সঙ্গে তাঁর অভিনীত বহু ছবি দর্শকমনে প্রবল দাগ কেটেছে। সমালোচকরা বলেন, তাঁর মতো অভিনেত্রী সে যুগে আর কেউ ছিল না। স্বয়ং উত্তমকুমারও তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বলে স্বীকার করতেন। মহানায়কের প্রসঙ্গ উঠলেই আজও নস্টালজিক হয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খোলেন উত্তমকুমারের প্রিয় ‘সাবু’ ওরফে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আমার উত্তমদা
মহানায়ক তাঁকে ভীষণ স্নেহ করতেন। ভাইয়ের মতো দেখতেন। শাসন ও করতেন অভিভাবকের মতোই। প্রথম সাক্ষাতে তবু উত্তমকুমারের সঙ্গে কথা বলার সাহস হয়নি তাঁর। পরবর্তীতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে মহানায়কের স্নেহচ্ছায়ায় এসে সমৃদ্ধ হয়েছেন। মহানায়কের জন্মমাসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী।
‘একজন বড় মনের মানুষ '
উত্তমকুমারকে ঘিরে তাঁর স্মৃতির অন্ত নেই। মহানায়কের স্নেহ না পেলে নাকি নিজের ফিল্মি কেরিয়ারই গড়ে তোলা হতো না তাঁর। এছাড়া উত্তমকুমারকে নিয়ে পারিবারিক বিভিন্ন গল্পও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সেইসব কথাই জানালেন বিশ্বজিৎ।
‘গানটা ভীষণ ভালো বুঝতেন '
উত্তমকুমারের নিজের গাওয়া গান পরে রেকর্ড করার সুযোগ পান তিনি। তাঁর পছন্দের সারিতে ‘হিরো' হিসেবে উত্তম-ই সেরা। রেকর্ডিং স্টুডিওয় তাঁর গান শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন মহানায়ক। ‘ধন্যি মেয়ে'-র গানের মাঝে সংলাপ কীভাবে বলবেন, তাও হাতেকলমে তাঁকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন উত্তম। প্রিয় নায়কের জন্মদিনে স্মৃতিতর্পণে গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়।
বাংলা ছবির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক নায়ক
উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল সন্তানতুল্য। মেকআপ রুমের আলাপ-আলোচনা থেকে ব্যক্তিগত স্তরে কথাবার্তা সবই হতো তাঁর সঙ্গে। আজও প্রেমের নায়ক বললে ‘উত্তমকাকু’-তেই ভোট পড়ে তাঁর। মহানায়কের স্মৃতিতে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘দাদার ওই বউঠান ডাকটা আজও আমার কানে বাজে’
উত্তমকুমারের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে তাঁর নতুন নামকরণ হয়েছিল ‘বউঠান’। কাজের সূত্রে খুবই কাছ থেকে দেখেছেন মহানায়ককে। প্রতিভাময়, মানবদরদি, হাসিমুখের মানুষটি আজ যে আর নেই, বিশ্বাস হয় না তাঁর। স্মৃতিচারণায় লিলি চক্রবর্তী।
মহানায়ক আজও কেন অনন্য?
উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন। পরদার এই জুটিকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই আজও। তাঁদের সম্পর্কটা কীভাবে দেখতেন সুপ্রিয়া দেবী? মহানায়কের অন্য সব নায়িকা যেমন শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, অপর্ণা সেনই বা কী বলেন উত্তমকুমারকে নিয়ে? লিখেছেন সুমন গুপ্ত।
‘যত দিন যাচ্ছে বুঝতে পারছি, কী হারালাম
মহানায়ক ছিলেন তাঁদের শ্বশুরমশাই। পারিবারিক বৃত্তের বাইরে ‘বাবি’কে নিয়ে খুব কম কথা বলেন তাঁরা, অর্থাৎ উত্তমকুমারের দুই পুত্রবধূ সুমনা চ্যাটার্জি এবং মহুয়া চ্যাটার্জি। ভবানীপুরের বাড়ির একতলার ঘরে বসে এক ফুরিয়ে আসা বিকেলে স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরলেন দুই পুত্রবধূ। যে বাড়ির দেওয়াল, ছাদ, কড়িবরগা আজও উত্তমময়।
'জ্যাজান ছিলেন বটগাছের মতো'
মহানায়ক তাঁদের জ্যাঠামশাই। শ্রদ্ধার, আবদারের, ভালোবাসার ‘জ্যাজান’। চ্যাটার্জি পরিবারের বটবৃক্ষ উত্তমকুমারকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর দুই ভাইঝি— বরুণকুমারের কন্যা মৌসুমী দত্ত এবং তরুণকুমারের কন্যা মনামী বন্দ্যোপাধ্যায়।