যদিও মে মাস, কিন্তু বাতাসে একটা শিরশিরানি ভাব। পাহাড়ের ঢালে গাড়ির গাছপালার ঘনত্ব বাড়ছে। জানলার কাচ নামানো। বিশুদ্ধ পাহাড়ি হাওয়া আর চোখের আড়ালে থাকা পাখির কিচিরমিচির মনকে তরতাজা করে তুলছে।
শিলিগুড়িতে প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়েছি। পশ্চিমবঙ্গ আর সিকিমের সীমান্ত শহর রংপো থেকে ঊর্ধ্বমুখী গাড়িগুলির বেশিরভাগ চলেছে বাঁদিকের রাস্তা ধরে গ্যাংটকের উদ্দেশে। আমরা চলেছি ডান দিকের পথ ধরে পূর্ব সিকিমের দালাপচান্দ। সিল্ক রুটের যাত্রীরা এখানে রাত কাটিয়ে এগিয়ে যান পদমচেন জুলুকের দিকে। রাস্তা ঠিকঠাক থাকলে শিলিগুড়ি থেকে পৌঁছতে ঘণ্টা চারেক সময় লাগার কথা। এতক্ষণের চলার সঙ্গী তিস্তা নদী রংপোতে
এসে আমাদের রংপো চু-র হেফাজতে তুলে দিল। রোরাথাংয়ে রংপো চু-র বাঁ-পাড় থেকে চলে এলাম ডান পাড়ে। জঙ্গল ঘন হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ি বাঁকের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করল। এমন সময় গাড়ির ড্রাইভার জানতে চাইলেন, সিকিমের একটা নতুন জায়গা দেখবেন? খানিক তাঁর উৎসাহে, খানিক নিজেদের কৌতূহলে রাজি হয়ে গেলাম। সামান্য ঘুরপথে পৌঁছলাম রুংদুংয়ের রেনক গ্রামে। রংপো থেকে মোটামুটি এক ঘণ্টা লাগল যেতে। গাড়ি থামল পাহাড়ের গায়ে পার্কিং লটে। পাশেই ২০১৬ সালে উদ্বোধন হওয়া বিশ্ব বিনায়ক মন্দির। সহজ প্রকৃতির মাঝে আধুনিক মন্দির। চওড়া সিঁড়ি দিয়ে নেমে বাহারি প্রশস্ত চাতাল। এক দিকে সমুদ্র মন্থনের চিত্রাবলি, সামনে দু'টি মন্দির। মূল মন্দিরে অধিষ্ঠান ১৬ হাতবিশিষ্ট গণেশ মূর্তির। দর্শন সেরে গাড়িতে উঠে পড়লাম।
আরও পাহাড়ি বাঁক, জঙ্গলের রাস্তা। পথে বেশ কয়েকটি হোমস্টে নজরে এল। দুপুর গড়িয়ে পৌঁছলাম দালাপচান্দে। এখানকার এক জনপ্রিয় হোমস্টেতে আমাদের ঘর সংরক্ষণ করা ছিল, সোজা সেখানেই হাজির হলাম। দোতলা বাড়িটির একতলায় কাচের জানলা দিয়ে মোড়া বিলাসবহুল বসার ঘর, পরবর্তী দিন-দুয়েক আমরা সন্ধেবেলা এখানেই আড্ডা দিয়ে কাটিয়েছিলাম। কিচেন গার্ডেনের সুস্বাদু সবজি দিয়ে তৈরি মোমো আর পকোড়ার সঙ্গে জমে উঠত চায়ের আসর। বসার ঘর সংলগ্ন খাওয়ার জায়গা। সিঁড়ি দিয়ে উঠে থাকার ঘরগুলিও বেশ সুন্দর! আকাশের মনমেজাজ ভালো থাকলে ঘরে বসেই দেখা মেলে বরফমোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার।
Esta historia es de la edición April 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición April 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।