মুস্নার থেকে দেবীকুলামের বেসক্যাম্পে পৌঁছলাম, রাত তখন পৌনে এগারোটা! পরদিন ভোরে সদ্যোখিত সূর্যের আলোয় দেবীকুলামকে প্রথম দেখলাম। ছোট, শান্ত নিরিবিলি শহর। সুন্দর প্রকৃতি! পাহাড় দিয়ে ঘেরা। পাহাড়ের ঢালে দু'-একটা ছোট বসতবাড়ি আর চা-বাগান। নির্জন রাস্তা।
ইতিমধ্যে মাইসোর থেকে ট্রাকে এসে পৌঁছল আমাদের সাইকেল। আমি বেছে নিলাম একটা মন্ত্রা ব্ল্যাকবিট মডেল। দ্বিতীয় দিন আমাদের অ্যাক্লিমেটাইজেশান রাইড অর্থাৎ পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলার মহড়া। বেলা এগারোটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম ২৫ জন সাইক্লিস্ট। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে ডান দিকে ঢালু রাস্তা ধরে নেমে এলাম ৫০০ মিটার দূরে ৮৫ নম্বর জাতীয় সড়কে। এবার সাত কিলোমিটার দূরে লকহার্ট টি এস্টেট পেরিয়ে চলে যাব মালয়িল কাল্লান গুহা পর্যন্ত।
মসৃণ হাইওয়ে। ৫০০ মিটার দূরে টোলপ্লাজা। তারপরই চড়াই শুরু। একটা বাঁক ঘুরতেই ডান পাশে লকহার্ট টি এস্টেট। রাস্তা অর্ধচন্দ্রাকারে এস্টেটকে বেড় দিয়ে উঠে গিয়েছে। এখানে পর্যটকের ভিড় খুব। গাড়িও দাঁড়িয়ে অনেক। চা-বাগানের মধ্যেটা ঘুরে দেখছেন কেউ কেউ। সেলফি তুলতে উৎসাহীরাও বসেছেন এদিক-ওদিক।
লম্বা চড়াই রাস্তা আমাদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে দম নেওয়ার জন্য থামছি। বাঁদিকের ঢালে চা-বাগান আর দিগন্তবিস্তৃত প্রান্তর। ঘণ্টাদেড়েকে পৌঁছে গেলাম এস্টেটের একেবারে শেষ প্রান্তে। তারপর সামান্য ঢালুপথে ৫০০ মিটার মতো এগিয়ে একটি গুহা দেখতে পেয়ে থামলাম। এটিই মালয়িল কাল্লান গুহা। জনশ্রুতি, এখানেই লুকিয়ে থাকত এক ডাকাত, সুযোগ বুঝে লুটপাট করে সর্বস্বান্ত করত পথিকদের আর লুটের রাশি বিলিয়ে দিত গরিবদের মধ্যে। গুহার ভিতরটা ঘুরে দেখে, সঙ্গে আনা লাঞ্চপ্যাক খুলে বসলাম। ফেরার পথটা পুরোটাই উতরাই। প্রায় বিনা প্যাডেলেই ঝড়ের গতিতে সাইকেল ছুটল।
খালি বাংলোয় জলের ফোঁটা পরদিন আসল অভিযান শুরু। সকলের সাইকেল চেক করে বেরতে সাড়ে নটা বেজে গেল। ইউথ হস্টেলের তামিলনাডু শাখার চেয়ারম্যান বেঙ্কটরামন পতাকা দেখিয়ে যাত্রা শুরু করিয়ে দিলেন। আমাদের ২৫টি সাইকেলের আগে আগে চলেছে একটি জিপ। তাতে রয়েছেন আমাদের গাইড, হরি। তাঁর কাজ পথের মোড়ে সকলের আগে পৌঁছে দাঁড়িয়ে থাকা। শেষ জন অতিক্রম করে গেলে আবার সকলকে টপকে পরের
Esta historia es de la edición March 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición March 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।