ভোর পৌনে ছ'টা। অন্ধকার কেটে | আস্তে আস্তে আলো ফুটতে শুরু করেছে। দূরের পাহাড়গুলোর মাথা ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। বাতাসে ঠান্ডা ভাব। পাহাড়ি হাইওয়ের ধারে অটো দাঁড় করিয়ে গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছি। হোমস্টে কর্তৃপক্ষের পাঠানো এই অটোই খুরদা রোড স্টেশন থেকে নিয়ে চলেছে পক্ষীরাজ্য মংলাজোরি গ্রামের কাছে হোমস্টেতে। চিল্কা হ্রদের জলে পুষ্ট মংলাজোরি জলাশয় অক্টোবর থেকে মার্চের প্রথম দিক অবধি লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী পাখির অস্থায়ী
ঠিকানা। জায়গাটা ওড়িশার খুরদা জেলার টাঙ্গি ব্লকে। ২০০০ সালের আগে অবধিও মংলাজোরি ছিল পাখি শিকার ও পাচারের বড় কেন্দ্র। ওই বছরের শুমারি অনুযায়ী পাখির সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচ হাজার! প্রকৃতিপ্রেমী প্রকৃতিপ্রেমী নন্দকিশোর ভুজবলের উদ্যোগ, প্রচার এবং একাধিক সচেতনতা শিবিরের পর মংলাজোরি এখন পাখিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। পৌনে সাতটায় হোমস্টেতে পৌঁছে ব্যাগগুলো ঘরে রেখেই রওনা হলাম জলাশয়ের দিকে। হোমস্টে থেকে দু'কিলোমিটার। হোমস্টে কর্তৃপক্ষই অটোর ব্যবস্থা করে দিলেন। রাস্তাতেই বেশ কিছু পাখি চোখে পড়ল। জলাশয়ে পৌঁছে নৌকোয় চড়ে বসতেই মাঝি-কাম-গাইড যোগীন্দ্র নিয়ে চললেন পাখিদের মাঝে। ছই-হীন নৌকো। তাতে ছবি তোলার সুবিধা।
নৌকো পাখিদের মাঝে এসে পড়ল। তাদের কেউ খাবার খুঁজছে, কেউ পালক খোঁচাচ্ছে, কেউ পা দিয়ে মাথার পালক আঁচড়াচ্ছে, কেউ শুধুই জলকেলি করছে। এত কাছ থেকে এত পাখি দেখে অভিভূত হয়ে গেলাম! যোগীন্দ্ৰ অনর্গল বলে চললেন পাখিদের নাম, খাদ্যাভ্যাস, বাসস্থান, তাদের মিলনের ধরণ। মাথার উপর তখন গোটাকতক হুইসকার্ড-টার্ন ঘুরছে। ক্যামেরা তাক করি কচুরিপানার উপর চরে বেড়ানো পার্পল মুরহেনগুলোর দিকে। শিকারের খোঁজে ঘুরছে পার্পল হেরন, গ্রে হেরন, ব্রাউন-হেডেড গাল। কখন ওরা উড়বে, সেই আশায় থাকি! একটু পরেই বেশ কিছু নর্দার্ন পিন্টেল পায়ে জল ছিটিয়ে উড়ে গেল। নৌকো ঢুকে পড়ল একটা সরু খাঁড়ির মধ্যে।
Esta historia es de la edición March 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición March 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।