লীলাবাড়ি এয়ারপোর্টে নামার পর ছোট এক ভেসেলে নদী পেরিয়ে মাজুলিতে এসেই প্রথম যা নজর কাড়ল তা এখানকার প্রকৃতির অপার নৈঃশব্দ্য আর জীবনের মন্থর গতি। ব্রহ্মপুত্র নদে পৃথিবীর বৃহত্তম নদীদ্বীপ মাজুলি আসামের একটি জেলা। চাষবাস কেন্দ্রিক এলাকা। প্রধানত নব্য বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষের বাস এখানে। সম্বৎসরের নানান পুজোপাঠ-উৎসবের সঙ্গে দোল উৎসবও এখানে পালিত হয় সাড়ম্বরে।
মাজুলি দ্বীপে বেশ কয়েকটি বৈষ্ণব মঠ ও ধর্মচর্চা কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলিকে বলা হয় 'সত্ৰ' । পঞ্চদশ শতকে শ্রীমন্ত স্বামী শঙ্করদেব সাধারণ মানুষের মধ্যে নব্য বৈষ্ণব ভাবাদর্শ প্রচার করেন। সেসময় আসামের রাজার
পৃষ্ঠপোষকতায় এই সত্রগুলি প্রতিষ্ঠিত হয়। গৃহী, ভক্ত এবং সন্ন্যাসী মিলিয়ে সত্রের গঠন অনেকটা বৌদ্ধ মঠের মতোই। আউনিআটি, বেঙ্গেনাআটি, কমলাবাড়ি— এগুলি সবই সত্ৰ । তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চেমাগুড়ি বা সামাগুড়ি সত্র। শুধু বৈষ্ণব ধর্মচর্চাই নয়, চেমাগুড়ি মুখোশ শিল্পের জন্যও বিখ্যাত। ঐতিহ্য, মহাকাব্য, পুরাণ চর্চাকে জনপ্রিয় করতে সত্রে শুরু হয়েছিল প্রায় পালাগানের মতো 'ভাবনা' বা 'ভাওনা' নামে একটি শিল্পশৈলী, নাচ-গান-অভিনয়ই যেখানে প্রধান । দর্শক যাতে পৌরাণিক চরিত্রগুলিকে চিনতে পারেন, সেজন্য অভিনেতাদের মুখোশ পরা প্রচলিত হয়। মাজুলির চেমাগুড়ি সত্র এই মুখোশ শিল্পকেই নিয়ে গেছে দেশকালের গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্য এক উচ্চতায়। প্রথমে চরিত্রের আদলে বাঁশের ছিলা দিয়ে তৈরি করা হয় মুখের খাঁচা। তারপর নরম পলিমাটির প্রলেপ দিয়ে চড়া রোদে ফেলে রেখে। শুকিয়ে উপরে পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দেওয়া হয়। এরপর ফের ভালো করে শুকিয়ে প্রাকৃতিক রং দিয়ে আঁকা হয় নাক-চোখ-মুখ। মুখা, লটকাই মুখা আর বড়মুখা মুখোশের প্রধান তিনটি ধরন। বড়মুখা প্রমাণ আকারের থেকে অনেক বড়। লটকাই মুখায় ঠোঁট আর চোখের পাতা নাড়ানো যায়। দোল উৎসবের আগের দিন চেমাগুড়ি সত্রে এসেছিলাম নির্ঘণ্ট জানতে। তখনই মুখোশ তৈরির প্রক্রিয়া বিশদে দেখেছিলাম। পরদিন সত্রে এসে আর চেমাগুড়িকে চিনতেই পারি না
Esta historia es de la edición March 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición March 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।