কলকাতা থেকে সরাসরি বিশাখাপত্তনম । পৌঁছে শুরু হতে পারে অন্ধ্র ভ্রমণ। যাঁদের হাতে দু'-তিনদিন সময় বেশি, আর নতুন পথে ভ্রমণের ইচ্ছা, তাঁরা দক্ষিণ ওড়িশার কোরাপুট বেড়িয়ে আরাকু হয়ে চলে আসতে পারেন বিশাখাপত্তনম। সেখান থেকে দেখুন অচেনা সমুদ্রসৈকত আর চলুন অন্ধ্রের অজানা প্রান্তে।
বিশাখাপত্তনম ইংরেজদের ওয়ালটেয়ার-ই আজকের বিশাখাপত্তনম। তবে পূর্বঘাট পর্বতমালা ও বঙ্গোপসাগরের অপরূপ সন্ধিস্থলে এই বন্দরনগরীটি পর্যটকদের কাছে ভাইজ্যাগ নামে বেশি পরিচিত। ভাইজ্যাগ ভ্রমণের জন্য অন্তত তিনটে দিন হাতে রাখুন। সমুদ্রপাড়েই রামকৃষ্ণ মিশনের কেন্দ্র, তা
থেকেই সৈকতের নাম রামকৃষ্ণ বিচ। এটিই শহরের প্রাণকেন্দ্র। সাগরপাড়ে প্রচুর মানুষের আনাগোনা, পর্যটকদের ভিড়, দোকানপাট। বিকেলের দিকে দক্ষিণী স্ট্রিট ফুডের মেলা বসে যায়। সি সাইড রোড সুন্দর সাজানো। ডুবোপাথর থাকায় রামকৃষ্ণ বিচে স্নান করা যায় না। প্রথম দিন বিচের ধারে কালীমন্দির, নবরত্ন মন্দির, আই এন এস কুরুসাওয়া সাবমেরিন, এয়ারফোর্স মিউজিয়াম, অ্যাকোয়ারিয়াম, চোল- পল্লব রাজাদের নানা প্রত্নসামগ্রী সম্বলিত বিশাখা মিউজিয়াম ও ভুদা পার্ক দেখে নিন। সাবমেরিনের মধ্যে ঢুকে তার কার্যকারিতা দেখার ব্যবস্থা আছে। এই পথের শেষে পড়বে বিশাখাপত্তনম বন্দর আর ডলফিন নোজ। এখানকার মৎস্যবন্দরটিও দেখতে ভুলবেন না। দিনভর ট্রলারের আনাগোনা। খুব সকালে গেলে মাছের নিলাম হওয়া দেখতে পাবেন। দ্বিতীয় দিনের সফরে প্রথমেই চলুন ভিমুনিপত্তনম বা ভিমলি। ভাইজ্যাগ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সপ্তদশ শতকের পর্তুগিজ শহরটিতে পৌঁছতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। ডাচ সিমেট্রি, প্রাচীন লাইটহাউস দেখে নিন। সমুদ্রের পাড়ে বসে পালতোলা জেলেনৌকোর ভেসে যাওয়া দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে।
Esta historia es de la edición July 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición July 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
বাঁকুড়ার অষ্টসখী দুর্গার গ্রামে
এবছর যাঁরা আমরাল গ্রামের অষ্টসখী দুর্গাপুজো দেখতে যেতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সঞ্জয় গোস্বামীর সঙ্গে: -৮৯১৮১-৩৬০৫৬
ইতিহাসের দিল্লি
প্রায় দু'হাজার পাঠক-পাঠিকা এক সঙ্গে বসে পড়াশোনা করার মতো একটি সুবিশাল হলঘরও আছে এখানে।
স্মৃতির নগরী আগ্রা
আছে আরও নানা স্থাপত্য। তবে কেল্লা-প্রাঙ্গণের মূল আকর্ষণ সেলিম চিস্তির দরগা। শ্বেতপাথরের এই দরগাটি কেল্লার জামি মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
বারাণসীর পথ-ঘাট অলিগলি
বারাণসীর খাওয়াদাওয়া বারাণসীর গলি, তস্য গলির মধ্যে পথ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে গলিতে মানুষের কোনও অভাব নেই, তাঁরাই বাতলে দেবেন পথ। এই সব গলির দেওয়ালে আঁকা আছে রংবেরঙের চিত্র। ছবির বিষয় কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাহিনিই নয়, সমসাময়িক সমাজও। এই অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ, সর্বত্রই খাবারের দোকান পাবেন। বারাণসীতে এসে রসনাকে তৃপ্তি না দিলে নিজেই ঠকবেন! বেনারসের সকাল শুরু হয় গরম কচুরি দিয়ে, সঙ্গে নিতে পারেন মালাই টোস্ট আর চা। বেনারসের আর-এক জনপ্রিয় খাবার চাট। ফুচকা থেকে বড়া আর টম্যাটো থেকে কচুরি, সব কিছুরই চাট মেলে বেনারসে। চাটের সঙ্গে আছে ঠান্ডা কুলফি ও ফালুদা। শীতে বেনারস গেলে অবশ্যই চেখে দেখবেন মালায়িও— মালাই ও মাখনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। অনেকের মতে মালায়িও হল মিষ্টির রাজা। এছাড়া রাবড়ি, লস্যি আর শেষ পাতে নানা স্বাদগন্ধের বেনারসি পান তো আছেই !
চেনা কাশ্মীর দেখে অল্প চেনা পথে
আরও আনন্দের হয় যদি শ্রীনগর থেকে চলে যেতে পারেন কাশ্মীরের অচেনা স্বর্গ তোসা ময়দান । তুষারে মাখা পিরপাঞ্জাল পর্বতশ্রেণি ঘিরে আছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমিকে। ঢেউখেলানো ময়দানের বুক চিরে খরস্রোতে বয়ে চলেছে সুখনাগ নদী। ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া মনের সুখে চরে বেড়ায় সেই সবুজ প্রান্তরে। শ্রীনগর থেকে তোসা ময়দানের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। গাড়িতে যাতায়াতের খরচ পড়বে ৬,০০০-৭,০০০ টাকা। শ্রীনগরের কোনও হোটেলে রাত্রিবাস করেই সারাদিনের সফরে দেখে নেওয়া যায় তোসা ময়দান। তবে কেউ যদি তোসা ময়দানে তাঁবুতে রাত্রিবাস করতে চান, কিংবা সীতাহরণ গ্রামের হোমস্টেতে থাকতে চান তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সীতাহরণ গ্রামের ফৈয়াজ আহমেদ শেখ (৯৯০৬৮-৫৪২৮৬) ও মনজুর আহমেদ শেখের (৯৯০৬৬-৫৬৫৯১) সঙ্গে। তোসা ময়দান থেকে বিভিন্ন ট্রেকিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থার জন্যও কথা বলা যেতে পারে ওঁদের সঙ্গে।
গাড়োয়ালের পথে পথে
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ এবং হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https:// registrationandtouristcare.uk.gov.in কেদারে ডুলি ও ঘোড়ার খরচ বয়স্ক যাত্রীদের পদব্রজে কেদারনাথ যেতে অসুবিধা হলে ঘোড়া বা ডুলিরও ব্যবস্থা আছে এপথে। গৌরীকুণ্ড থেকে ১ কিলোমিটার এগিয়ে কেদার যাওয়ার ডুলি ও ঘোড়া পাওয়া যায়। গৌরীকুণ্ড থেকে ডুলিতে যাওয়া-আসা মিলিয়ে আনুমানিক খরচ ১৪,০০০-১৬,০০০ টাকা। শরীরের ওজন অনুযায়ীও ভাড়ার তারতম হয়। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদার যাওয়ার ঘোড়ার সরকারি খরচ ৩,২০০ টাকা। তবে চাহিদা অনুযায়ী আরও অনেক আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। ফেরার পথে কেদার থেকে গৌরীকুণ্ড ঘোড়ার খরচ ২,০০০ টাকা। জেনে রাখুন সাধারণত মদমহেশ্বরের মন্দির অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলে আবার দীপাবলির পর বন্ধ হয়। মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় মদমহেশ্বরের প্রতিমূর্তি ডোলিতে নামিয়ে আনা হয় উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে।
কুমায়ুন ভ্রমণ
লালকুঁয়া থেকে করবেট অরণ্য লালকুঁয়া থেকে করবেটের দূরত্ব মোটামুটি ৭০ কিলোমিটার। ১,২৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্য আটটি 'জোন'-এ বিভক্ত। জনপ্রিয় জোনগুলি হল ধিকালা, বিজরানি, ঝিরনা ও ঢেলা। এর মধ্যে আবার ধিকালা জোনেই সরকারি থাকার ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের সাফারির ব্যবস্থা সব চেয়ে ভালো। উপরোক্ত সবক'টি জোনেই বনবিভাগের লজ, গেস্টহাউস আছে। বাফার এলাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থাও আছে। আগে থেকে বুকিং করলে অবশ্যই ধিকালা বা বিজরানি জোনের জন্যই চেষ্টা করা উচিত। তবে, জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া সবসময়ই ভাগ্যের ব্যাপার! ধিকালা জোনে থাকলে ধানগঢ়ী গেট দিয়ে প্রবেশ করার পথে কোশী নদীর বুকে গর্জিয়া দেবীর মন্দির দেখে নেওয়া যেতে পারে। করবেট থেকে ফেরার পথে কালাধুঙ্গিতে জিম করবেটের বাসস্থান ও মিউজিয়াম দেখে নেওয়া যায়। পথের ধারে একটি অত্যন্ত অনাড়ম্বর দুই কামরার বাড়িতে জিম করবেট থাকতেন। বর্তমানে এটিকে একটি সুন্দর মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়েছে। করবেট অরণ্য সম্বন্ধে বিশদে জানতে ৫৫ পৃষ্ঠা দেখুন।
উত্তরের অরণ্য
দুধওয়া জঙ্গলের প্রবেশপথেই রয়েছে অনেকগুলো কটেজ নিয়ে সরকারি বনবাংলো। পালিয়া কালানে বেসরকারি হোটেলও আছে।
বুদ্ধ-জীবনের আট মহাস্থান
সেই থেকে এর নাম মর্কট হ্রদ। এটি বুদ্ধের জীবনের আট মহত্তম ঘটনার অন্যতম ।
এক যাত্রায় গুজরাত দিউ
ফোর্টটি বেশ বিস্তৃত এবং সজ্জিত। এছাড়া দেখে নিন আই এন এস খকরি