CATEGORIES
Kategorier
সরস প্রজ্ঞা ও পাণ্ডিত্য ব্র ত ব ন্দ্যোপাধ্যায়
বি, খ্যাত ইংলিশ ক্রিকেটার লেন হাটন সম্পর্কে লিখতে গিয়ে, একটি কবিতায়, আর-এক ব্রিটিশ কবি (এবং ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট-ও বটে) অ্যালান রস কল্পনা করেছিলেন, রদ্যাঁর ভাস্কর্যের মতাে হাটন মাথায় একটি হাত রেখে সামান্য ঝুঁকে আছেন আর সমুদ্রের নীল জল যেন তাঁর চোখের রঙেরই।
নাে টাইম টু ডাই
এই ছবি যতটা জেমস বন্ডের ততটাই ড্যানিয়েল ক্রেগের। নিশ্চিতভাবে এখনও পর্যন্ত যতজন অভিনেতা জেমস বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাঁদের মধ্যে ড্যানিয়েলই সেরা।
একদলীয় বনাম কোয়ালিশন সরকার
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নেতা চিনতে মানুষের কত সময় লাগে?
শিক্ষক ও প্রশাসকের স্মৃতিচারণ
যাঁদের সঙ্গে জীবনের কোনও-না-কোনও পর্যায়ে যােগ ছিল প্রেসিডেন্সির সঙ্গে, তাঁরা এই বই পড়ে বিস্মৃতপ্রায় অতীতকে নতুন করে অনুভব করতে পারবেন।
ভাল বনাম সফল
বে শ কিছুদিন আগের কথা। কোনও একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। একজন কমবয়সি সহ-অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করলাম সে একজন। অধ্যাপককে চেনে কিনা। অধ্যাপকটি আমার [ পুরনাে বন্ধু।
উন্নত রাস্তাঘাট প্রশস্ত করে বিনিয়ােগের পথ
→ অন্যান্য বছরের দুর্গাপুজোর মতাে এই বছরেও আমি কলকাতার বাইরে। এবং জীবনের অনেক বছরের মতাে। এ বছরও পুজোতে আমি আমার দ্বিতীয় বাসস্থান দিল্লিতে। তবে হাফ-প্রবাসী হলে কী হবে, ডিএনএ-তে তাে চেপটে থাকবেই বাঙালি অভ্যেস।
উন্মাদের পাঠক্রম
পুষ্পক রথ এবং গণেশকে সত্যি মনে করে নেতারা দাবি করেন প্রাচীন ভারত এভিয়েশন টেকনােলজি বা প্লাস্টিক সার্জারিতে উন্নত ছিল।
আধুনিক ভারতের নৈতিক সঙ্কট
আ মাদের সাহিত্য পাঠের অভ্যাস সময়ের সঙ্গে, ইতিহাসের প্রেক্ষিতের সঙ্গে বদল হতে হতে চলে। এক সময়ের স্বীকৃত পাঠকৃতি পরবর্তী সময়ে খণ্ডিত হয়, দ্বিধাবিভক্ত হয়, পাঠের নির্মিতির বিবিধ ধারণার চালে আমূল বদলে যায়। বলা বাহুল্য
প্রজন্মের ব্যবধান ও উল্লম্ফন
-1 বঙ্কিমচন্দ্রের কৃষ্ণকান্তের উইল-এর পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ শুরু হচ্ছে এ ভাবে— “দৈনিক কার্য সমস্ত সমাপ্ত করিয়া, প্রাত্যহিক নিয়মানুসারে গােবিন্দলাল দিনান্তে বারুণীর তীরবর্তী পুপােদ্যানে গিয়া বিচরণ করিতে লাগিলেন। .বারুণীর কূলে উদ্যানমধ্যে
অত প্রেম নেই!
ইউভাল নােয়া হারারি তাঁর সেপিয়েন্স গ্রন্থে লিখেছেন যে, নিঃসন্দেহে ‘গম’ জিনিসটাই মানুষকে বনচারী থেকে গৃহী বানিয়ে ফেলেছিল। “From the viewpoint of wheat... We did not domesticate wheat. It domesticated us”।
মা তবুও আসছেন
মেয়েরা উৎসবের মরসুমে নির্ভয়ে বেরােতে পারবেন তাে? মায়ের আসা আর ক’দিনের অপেক্ষা, প্রয়ােজন মেয়েদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা।
রাজপথে উঠিলাম
আগের শতকে আমার মতাে মানুষকে যৌনতাহীন মনে করা হত। আমি তাে যৌনাঙ্গ বানিয়ে নিয়েছি নিজের ইচ্ছেমতাে। এ ভাবে বললে, কথাটার মধ্যে ঔদ্ধত্যের ছোঁয়া রয়েছে বলে মনে হবে।
যে জন প্রেমের ভাব জানে না
অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি দ্বেষ প্রকাশ করা যখন স্বাভাবিক এবং অন্য ধর্মের মানুষের জন্য ভালবাসা জাহির করা যখন নিন্দিত,
স্বকীয় ও স্বতঃস্ফূর্ত দক্ষতার শিল্পী
পদার্থবিজ্ঞান বলে, পৃথিবীতে কোনও স্থানই নাকি শূন্য থাকা সম্ভব নয়। কিছু না কিছু দিয়ে তা পূর্ণ হবেই। সত্যিই কি তাই? এই সংগীত যে এত মানুষ আমাদের। অসময়ে নিরন্তর একা করে দিয়ে চলে যাচ্ছেন, কোথায় পাওয়া যাবে তাঁদের পূর্ণতা?
মনােরাজ্যের চোখ শুভ
ইস্কুলের পাঠ্যবই থেকে সেই কোনকালে হারিয়ে যাওয়া শব্দ আবার মনে আসে হঠাই।
সমদ্রকুল উন্নয়নের মিলিত লক্ষ্য
গত সপ্তাহে নাশনাল। হাইওয়ে থেকে দিঘার পথে বাঁক নিয়ে একটু এগিয়ে যেই দেখলাম, বর্ষার নিচু মেঘের সঙ্গে মসিবর্ণ সমুদ্র মিলেমিশে একাকার, তখনই মনে পড়ল ওয়ারেন হেস্টিংস-এর কথা। হ্যাঁ, তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন কলকাতার অনতিদূরে ছবির মতাে এই গ্রামটি। সেটা ১৭৮০ সাল।। দেখেই আত্মহারা হয়ে দেশে চিঠি লিখেছিলেন, “এই হল প্রাচ্যের ব্রাইটন”।
রুপােলি আলাে
অলিম্পিক্সে ভারত থেকে অংশগ্রহণ করেন অনেকেই, পদক সেই অনুপাতে আসে কম৷ এবারও, আপাতত, একটিই এসেছে, মণিপুরের মীরাবাই চানুর সৌজন্যে। ভারােত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক পেয়েছেন তিনি। ছবিতে জয়ের সেই মুহূর্ত।
সঙ্গীত সমরে
যদি বিজেপি খারাপ ফল করে, তখন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলােচনা হবে প্রচুর। এই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিজেপি বিরােধী সাফল্য যে উত্তর-পূর্বের ছােট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় কার্যকরী হতে পারে, সেই যুক্তি অবশ্যই পরিষ্কার।
হারিয়ে যেতে বসেছে মধ্যবিত্ত জীবনের স্বপ্ন
গত দু’বছর কোভিড-১৯। এর ভয়ে আমি কদাপি বাজারমুখাে হইনি। কিন্তু ঘরে বসে বাজার ফেরতদের মুখে যে-খবর। পেয়েছি, তা প্রত্যহ চিন্তিত করে তােলে। গ্রীষ্ম ও বর্ষা জুড়ে যে সব সবজি বাঙালি রান্নাঘরের প্রধান।
যা ছিল কালাে-ধলাে...
‘রবীন্দ্রনাথকে তাঁর মা কোলে নিতেন না কালাে বলে, এমন নিম্নরুচির শিরােনাম একেবারে ভিন্টেজ বিজেপি চাল! তাতেই নেতাদের লাভ।
বিপর্যয়ের মুখে উচ্চশিক্ষিত তরুণ সম্প্রদায়
কলকাতার নীলরতন। সরকার মেডিক্যাল কলেজে ৬-টি ডােমের চাকরির জন্য পাঁচশাে পােস্ট-গ্র্যাজুয়েট, শতাধিক ইঞ্জিনিয়ার ও দ্বি-সহস্রাধিক বিএ বিএসসি পাশ যুবক ও যুবতীর আবেদন করার ঘটনাটি ভারতের ভবিষ্যতের পক্ষে ইঙ্গিতবহ। আবেদনকারীর মােট সংখ্যা আট হাজার।
বাংলা সাহিত্যের ব্যাপ্ত সংগ্রহ
গ্রামবাংলার। আনাচ-কানাচ থেকে খুঁজে আনা বাংলা সাহিত্যের নানা দুর্লভ টেক্সট-এর সংকলন এই বই, যা বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগকে চিনিয়ে দেয় নির্ভুলভাবে।
আর্টের নতুন রাস্তা
ভারতীয় শিল্পকলার ইতিহাসে নবযুগ এনেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। তিনি যে-ছবি এঁকেছিলেন, তা প্রথমে বেঙ্গল স্কুল, পরে ভারতশিল্প নামে পরিচিত হয়ে সারা ভারতে তাঁর খ্যাতি সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল।
ছবিটিই যেন বিপর্যয়
চেরনােবিলের বহুমাত্রিক অভিঘাতকে চিত্রনাট্যে তুলে ধরতে গেলে প্রয়ােজন যত্নের। এই ছবিতে তা অনুপস্থিত।
নীলমানুষ, লালমানুষ
ধর্মপরিচয়ের ঊর্ধ্বে নিছক মানুষ হিসেবে যখন শনাক্ত করতে শিখব পরস্পরকে, তখনই শিক্ষার্থীকেও স্রেফ শিক্ষার্থী হিসেবেই দেখব।
পাকাপাকি থেমে না-গেলেই হল
১৯৬৭ সালে এস এন এস শাস্ত্রী একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন— আই অ্যাম টোয়েন্টি। কুশীলবদের সকলের বয়স কুড়ি। অধিকাংশ ছেলে, তবে কয়েক জন মেয়েও ছিল। তাদের সকলের জন্মদিন ১৫ অগস্ট, ১৯৪৭ |
অপ্রত্যাশিত? একেবারেই না
আফগানিস্তানে কী ঘটছে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত হব কেন? চিন্তিত হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। এক, মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি স্বাভাবিক সহমর্মিতা। সে দেশে যাঁরা বিপন্ন, বিপর্যস্ত, তাঁদের সঙ্কটের নানা কাহিনি এবং দৃশ্য আমাদের মনে স্বাভাবিক অভিঘাত সৃষ্টি করছে।
এত বিদ্বেষ অতিক্রম করা যাবে?
নীরজ চোপড়ার স্বর্ণপদক জয়ের আনন্দে যাঁদের দেশপ্রেম উদ্বেল, বন্দনা কাটারিয়া-র অবমাননায় তাঁরাই সম্পূর্ণ নীরব। কারণ, বন্দনা ‘দলিত।
আফগানিস্তান এবং বিশ্বরাজনীতি দর্শন
পুরাণে গান্ধার হল একটি দেশ, যা বর্তমান আফগানিস্তানের অনেকখানি। অংশ জুড়ে রয়েছে। গান্ধার বা কান্ধার এখনকার ‘কান্দাহার’ বলে পরিচিত। ‘গান্ধার” কথাটি এসেছে গন্ধ বা সম্পর্ক থেকে, আর সেই সম্পর্ক হল উৎপাদনের সম্পর্ক। এই সম্পর্ককে সচল ও সমাজমুখী করার লক্ষ্যে যে-বিদ্যার চর্চা হয় তাকে বলা হয় চাক্ষুষী বিদ্যা।
অগ্রগতির দ্বান্দ্বিক সূত্র
রতের কৃষি: একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ গ্রন্থটি বাংলায় অর্থনীতি চর্চার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়ােজনীয় সংযােজন। অতীতে আনন্দ পাবলিশার্স ‘অর্থনীতি গ্রন্থমালা’ সিরিজে একাধিক গ্রন্থ। প্রকাশ করেছে। সেগুলির ঘােষিত চরিত্র“সাধারণভাবে জিজ্ঞাসু পাঠকের উপযােগী করে লিখিত এই রচনাবলীর ভঙ্গি সহজ, ভাষা স্বাদু ও প্রাঞ্জল।”