CATEGORIES
Kategorier
সঙ্গীত সমরে
যদি বিজেপি খারাপ ফল করে, তখন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশলের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলােচনা হবে প্রচুর। এই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিজেপি বিরােধী সাফল্য যে উত্তর-পূর্বের ছােট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় কার্যকরী হতে পারে, সেই যুক্তি অবশ্যই পরিষ্কার।
হারিয়ে যেতে বসেছে মধ্যবিত্ত জীবনের স্বপ্ন
গত দু’বছর কোভিড-১৯। এর ভয়ে আমি কদাপি বাজারমুখাে হইনি। কিন্তু ঘরে বসে বাজার ফেরতদের মুখে যে-খবর। পেয়েছি, তা প্রত্যহ চিন্তিত করে তােলে। গ্রীষ্ম ও বর্ষা জুড়ে যে সব সবজি বাঙালি রান্নাঘরের প্রধান।
যা ছিল কালাে-ধলাে...
‘রবীন্দ্রনাথকে তাঁর মা কোলে নিতেন না কালাে বলে, এমন নিম্নরুচির শিরােনাম একেবারে ভিন্টেজ বিজেপি চাল! তাতেই নেতাদের লাভ।
বিপর্যয়ের মুখে উচ্চশিক্ষিত তরুণ সম্প্রদায়
কলকাতার নীলরতন। সরকার মেডিক্যাল কলেজে ৬-টি ডােমের চাকরির জন্য পাঁচশাে পােস্ট-গ্র্যাজুয়েট, শতাধিক ইঞ্জিনিয়ার ও দ্বি-সহস্রাধিক বিএ বিএসসি পাশ যুবক ও যুবতীর আবেদন করার ঘটনাটি ভারতের ভবিষ্যতের পক্ষে ইঙ্গিতবহ। আবেদনকারীর মােট সংখ্যা আট হাজার।
বাংলা সাহিত্যের ব্যাপ্ত সংগ্রহ
গ্রামবাংলার। আনাচ-কানাচ থেকে খুঁজে আনা বাংলা সাহিত্যের নানা দুর্লভ টেক্সট-এর সংকলন এই বই, যা বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন যুগকে চিনিয়ে দেয় নির্ভুলভাবে।
আর্টের নতুন রাস্তা
ভারতীয় শিল্পকলার ইতিহাসে নবযুগ এনেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। তিনি যে-ছবি এঁকেছিলেন, তা প্রথমে বেঙ্গল স্কুল, পরে ভারতশিল্প নামে পরিচিত হয়ে সারা ভারতে তাঁর খ্যাতি সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল।
ছবিটিই যেন বিপর্যয়
চেরনােবিলের বহুমাত্রিক অভিঘাতকে চিত্রনাট্যে তুলে ধরতে গেলে প্রয়ােজন যত্নের। এই ছবিতে তা অনুপস্থিত।
নীলমানুষ, লালমানুষ
ধর্মপরিচয়ের ঊর্ধ্বে নিছক মানুষ হিসেবে যখন শনাক্ত করতে শিখব পরস্পরকে, তখনই শিক্ষার্থীকেও স্রেফ শিক্ষার্থী হিসেবেই দেখব।
পাকাপাকি থেমে না-গেলেই হল
১৯৬৭ সালে এস এন এস শাস্ত্রী একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন— আই অ্যাম টোয়েন্টি। কুশীলবদের সকলের বয়স কুড়ি। অধিকাংশ ছেলে, তবে কয়েক জন মেয়েও ছিল। তাদের সকলের জন্মদিন ১৫ অগস্ট, ১৯৪৭ |
অপ্রত্যাশিত? একেবারেই না
আফগানিস্তানে কী ঘটছে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত হব কেন? চিন্তিত হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। এক, মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি স্বাভাবিক সহমর্মিতা। সে দেশে যাঁরা বিপন্ন, বিপর্যস্ত, তাঁদের সঙ্কটের নানা কাহিনি এবং দৃশ্য আমাদের মনে স্বাভাবিক অভিঘাত সৃষ্টি করছে।
এত বিদ্বেষ অতিক্রম করা যাবে?
নীরজ চোপড়ার স্বর্ণপদক জয়ের আনন্দে যাঁদের দেশপ্রেম উদ্বেল, বন্দনা কাটারিয়া-র অবমাননায় তাঁরাই সম্পূর্ণ নীরব। কারণ, বন্দনা ‘দলিত।
আফগানিস্তান এবং বিশ্বরাজনীতি দর্শন
পুরাণে গান্ধার হল একটি দেশ, যা বর্তমান আফগানিস্তানের অনেকখানি। অংশ জুড়ে রয়েছে। গান্ধার বা কান্ধার এখনকার ‘কান্দাহার’ বলে পরিচিত। ‘গান্ধার” কথাটি এসেছে গন্ধ বা সম্পর্ক থেকে, আর সেই সম্পর্ক হল উৎপাদনের সম্পর্ক। এই সম্পর্ককে সচল ও সমাজমুখী করার লক্ষ্যে যে-বিদ্যার চর্চা হয় তাকে বলা হয় চাক্ষুষী বিদ্যা।
অগ্রগতির দ্বান্দ্বিক সূত্র
রতের কৃষি: একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ গ্রন্থটি বাংলায় অর্থনীতি চর্চার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়ােজনীয় সংযােজন। অতীতে আনন্দ পাবলিশার্স ‘অর্থনীতি গ্রন্থমালা’ সিরিজে একাধিক গ্রন্থ। প্রকাশ করেছে। সেগুলির ঘােষিত চরিত্র“সাধারণভাবে জিজ্ঞাসু পাঠকের উপযােগী করে লিখিত এই রচনাবলীর ভঙ্গি সহজ, ভাষা স্বাদু ও প্রাঞ্জল।”
পিছনের দিকে এগিয়ে যান
ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করার পরে বিভিন্ন বিষয়ে হাতেকলমে কাজ শিখতে হয় হবু চিকিৎসকদের, যার নাম ‘রােটেটিং ইনটার্নশিপ। মেডিসিন, শল্যচিকিৎসা, স্ত্রী-রােগ, চোখ, নাক-কান-গলা ইত্যাদি বিভাগে কাজ করার পরেই এমবিবিএস ডিগ্রিটি মেলে। চিকিৎসা বিষয়ক নিয়ামক সংস্থা ‘ন্যাশনাল মেডিকাল কমিশন’ গত ৭ জুলাই ‘কম্পালসারি রােটেটিং ইন্টার্নশিপ’ নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছেন। খসড়া অনুযায়ী হবু চিকিৎসকদের ‘ইন্ডিয়ান সিস্টেম অফ মেডিসিন’ বা ‘আয়ুষ’-এও এক সপ্তাহের জন্যে বাধ্যতামূলক ইনটার্নশিপ করতে হবে (“আয়ুষ’ শব্দটি এসেছে আয়ুর্বেদ, যােগ, ইউনানি, সিদ্ধা এবং হােমিওপ্যাথি— এই পাঁচটি বিষয়ের আদ্যক্ষর যােগ করে)।
হযবরল; কল্পনার মেধাবী স্বেচ্ছাচার সু ম ন গুণ
সুকুমার রায়ের রচনায় ‘আমাদের এই পৃথিবীর ভিতরেই আরও অনেক পৃথিবী’র খোঁজ পেয়েছিলেন জীবনানন্দ দাশ। চিত্ররূপময় সেই ভুবন ‘আমাদের চেনাশােনা পৃথিবী কিংবা তার প্রতিচ্ছবির মতাে বাস্তব না হয়েও তেমনি পরিচিত ও তেমনি সত্য। অতিরিক্ত অথচ অবধারিত সেই সত্যের সদাহাস্যময় বন্দনা সুকুমার রায়ের যে-কোনও লেখার মতােই আমরা পাব হযবরল-তেও, যে-রচনাটি এই বছর শতবর্ষ স্পর্শ করল। এই একশাে বছরে বাংলা সাহিত্য উচ্চাশা ভরা নানা অভিযানে অংশ নিয়েছে,
কোভিড-উত্তর বিশ্বে কর্মস্থানের ভবিষ্যৎ সুমি ত মিত্র
মনে পড়ে সত্তরের দশকে যখন কলকাতায় মেট্রো রেলের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে, তখন সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হত শহরের যানবাহনের। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তাপূর্ণ প্রবন্ধ। ধরেই নেওয়া হত, নগরবাসী বাস করবে টালা থেকে টালিগঞ্জ, এই বৃত্তের মধ্যে এবং তাদের কর্মজগতের কেন্দ্রবিন্দু থাকবে সেই ডালহৌসি-চৌরঙ্গী অঞ্চল।
কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে
সে-যুগে না-হয়ে মেঘদূত যদি এ-যুগে লেখা হত, কালিদাস নিশ্চিত ভাবেই ম্যাজিক রিয়েলিজম-এর পথিকৃৎ আখ্যা পেতেন। কেবলই রােম্যান্টিসিজমএর প্রতিভূ হয়ে ইতিহাসে ঠাঁই নিতে হত না তাঁকে। কিন্তু সমসময়কে পিছনে ফেলে ভাবনা যখন এগিয়ে যায়,
সহিষ্ণুতার অভাব ও বিভেদের রাজনীতি
ইনটলারেন্স। অসহিষ্ণুতা। বিশ্বের সর্বত্র পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসহিষ্ণুতার মাত্রা। বিরুদ্ধ মত প্রত্যাখ্যান করা বা সমাজের ভিন্নতর আর্থসামাজিক শ্রেণিদের সযত্নে এড়িয়ে চলা,
কবির গল্প গল্পের কবি
বহু গল্পই তাঁর আত্মপ্রতিবিম্ব, তাঁর সময়যাপন, তাঁর আনন্দ বিষাদ, তাঁর আত্মিক সংকটের এক চমৎকার জলজ দর্পণ।
শত ভুল বিকশিত হােক
‘হে গর্দভ! আমার প্রদত্ত, এই নবীন সকল ভােজন করুন। আমি বহুযত্নে, গােবসাদির অগম্য প্রান্তর সকল হইতে, নবজলকণানিষেকসুরভি তৃণাগ্রভাগ সকল আহরণ করিয়া আনিয়াছি, আপনি সুন্দর বদনমণ্ডলে গ্রহণ করিয়া, মুক্তানিন্দিত দন্তে ছেদনপূর্বক আমার প্রতি কৃপাবা হউন।
স্পর্শ করে থাকা বিশ্বজগৎ
তিবিম্ব পত্রিকায় ১৯৭৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত শঙ্খ ঘােষের নানা রচনা নিয়ে সাজানাে এই সংকলন, প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর দু-এক মাস আগে,
সেদিনের দেরি নেই আর
সেদিনের দেরি নেই আর। যেদিন দেশের নানা প্রান্তে গায়ে ‘কোভিডত্রাণ’ লিখে পৌঁছে যাবে বিমান। অধীর আগ্রহে সবাই ভাববে, বিমানের পেট থেকে এই বুঝি নামবে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভ্যাকসিন, স্যালাইন, প্রাণদায়ী ওষুধ।
সৌমিত্র-পরিক্রমা
এই বই সর্বসাধারণের জন্য। অবাঙালি ও বহির্বঙ্গের পাঠকদের তাে বটেই, বাঙালি সৌমিত্র অনুরাগীদেরও কার্যকর সহায়িকা পুস্তক হিসেবে বিবেচিত হবে এই বই।
সবার উপরে আমিই সত্য
বিভিন্ন কারণে ও উপলক্ষে জনমত যাচাইয়ের কাজ করে, এমন এক সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানিয়েছে, ভারতের ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নরেন্দ্র মােদী খুব ভাল সরকার চালাচ্ছেন।
রাজনৈতিক অদক্ষতার অভিঘাত
রাজনৈতিক অহমিকা ও মূর্খামির কারণে জনস্বাস্থ্যের উপর নেমে আসা কোনও বিপদ যে বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে, সেটা বুঝিয়ে দিল কোভিড-১৯ অতিমারী।
মেয়েরা কেবলই নজরদারির আওতায়
মেয়েদেরকে জীবনের নানাক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে দিতে নারাজ বেশির ভাগ মানুষ। এজন্য মেয়েদের হাতে মােবাইল না দেওয়ার বিষয়ে একমত সব্বাই।
বন্ধুত্বের খোঁজে গৌ ত ম ভ দ্র
পা গলা দাশু, ঘোঁতন আর পালা, হাবুল ও ক্যাবলাদের খুঁজব। কোথায়? এই সময়ে, এই দিনে? পটলডাঙার রােয়াকে না পাড়ার স্কুলে?
মানিকদার সােল্লাস হাততালি
অ ন্ধকার প্রেক্ষালয়ে পা দিতে না দিতেই কোনও এক অচেনা দর্শক-বন্ধুর হাত আমায় টেনে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসাল। সামনের দিকে তাকিয়েও বুঝতে পারছি, পরদায় তখন কী দেখানাে হচ্ছে, বুঝতে পারছি আর কতটুকুই বা আয়ু আছে ছবিটার! চলমান ছবিতে তখন দুঃখ-সুখের এমনই দোলদোলানি, মুহূর্তের জন্যেও নাড়াঘাঁটা করার সাহস হল না। কে আমার সঙ্গী হলেন, সেই অন্তিম লগ্নে কেই-বা সে হিসাব নেয়!
প্রশান্ত পাটিল: ছায়া-বাস্তবের কথামালা
প্রশান্তর প্রদর্শনীতে নবতর সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পারফর্মিং আর্টের এক সফল প্রয়ােগ। এই প্রদর্শনী সাম্প্রতিক অতিমারীর অদৃশ্য শৃঙ্খল অগ্রাহ্য করে এক নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। নিঃসন্দেহে।
বিধি বাম
আরও একবার প্রমাণিত হল যে, বামপন্থী নেতৃত্ব মানুষের মন বুঝতে ব্যর্থ। তবু হারের কারণ হিসেবে নিজেদের দুর্বলতা দেখতে তাঁরা নারাজ।