CATEGORIES
Categories
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।
পথ
রান্নাঘরের শান বাঁধানো মেঝেতে চারটে আসন পাতা। তার মানে বাবাও খায়নি। কিন্তু বাবা মা রবিউলের পাশে বসে খাবে! না-জেনে হয়তো খেয়ে নেবে। কিন্তু যদি কোনও দিন জানতে পারে! তখন!
আশনাই
সাদাতকে বৃন্দা কোন শিশুকাল থেকে দেখছে। সাদাত যেদিন নিচু হয়ে বৃন্দার কপালে আলগা চুমু খেয়েছিল, বালুকাবেলার মতো ভিজে উঠেছিল বৃন্দা। তার পর থেকে সমুদ্র আর সাদাত এক হয়ে গেল বৃন্দার কাছে।
সুপর্ণা এবং সুপর্ণা
ঝাঁপিয়ে পড়ে কিংশুককে চুমু খেতে ইচ্ছে করল সুপর্ণার। বনগাঁ লাইনের ট্রেন ধরতে এসে শিয়ালদা স্টেশনে একজন জাপানগামী যুবককে চুমু খাওয়াটা কতটা ঠিক হবে ভেবে, সামলে নিল।
ক্ষয় হয়, ভয় হয়
অম্বেডকরকে গ্রহণ করিনি, হয়তো করতে ইচ্ছুকও নই, শুধু নিজেদের স্বার্থে জড়িয়ে রেখেছি তাঁর নাম।
সংখ্যালঘুরা এখন পরীক্ষাগারের গিনিপিগ
বাংলাদেশ ও ভারতে ভিন্ন-ভিন্ন ধর্মের মানুষের বাস। দেশভাগের আগে ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে পারস্পরিক বন্ধন বজায় ছিল। ধর্ম বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ক্রীড়নক, তাই এখন সে তার সর্বনাশা চরিত্র চতুর্দিকে বিস্তার করছে।
তিনটি সাম্প্রতিক বাংলা ছবি
বছরশেষে ওটিটিতে এল ফেলুদা। সঙ্গে মুক্তি পেল দু'টি বড় বাজেটের বিনোদনধর্মী ছবি।
ক্রান্তিকালের আখ্যান
বিশ শতকের একটি বিশেষ সময়পর্বে গ্রাম এবং শহর জুড়ে যে-সমস্ত মানুষ রুজি রোজগার ও আত্মমর্যাদার লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন, তাঁরা ছড়িয়ে আছেন লেখার পাতায় পাতায়।
লিপস্টিক
শকুনের চোখে আমরা হয়তো শিক্ষার উৎস। তাদের ভাষা নেই, না হলে হয়তো বলত, \"মানুষের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে।\" খাবারের জন্য লড়াই আর মানুষের অমানবিকতা যুদ্ধের দিনে সব সীমা ছাড়ায়। শকুনেরা তবুও ঝগড়া না করে ভাগ করে খায়। মানুষের কাছেও এই সাদামাটা শিক্ষাটুকু যেন আসে।
ন্যায়বিচার ফিরুক, আসুক মর্যাদা ও সমতা
পতাকায় আঘাত মানে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করা। অন্য দিকে হাইকমিশন বা দূতাবাস বা কূটনৈতিক স্থাপনা সংশ্লিষ্ট দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা বাংলাদেশের সার্বভৌমিকতার উপর হামলা এবং পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ মর্মাহত, ক্ষুব্ধ।
বাংলাদেশের মুখ আমি দেখিয়াছি
বাংলাদেশের প্রকৃত মুখ অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে অবগুণ্ঠনে ছিল। যে মুখ আমরা অনেকেই আগেই বলেছি, তা আজ প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ হতবাক, কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে, মন্দির ভাঙা, হিন্দু আইনজীবীদের উপর হামলা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের মতো ঘটনা এখন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে।
নতুন ভোরের স্বপ্ন
পুরনো ইতিহাস সরিয়ে রাখলে ভারত ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ও স্বাধীন আলাদা দু'টি দেশ। দু'দেশের মানুষের রুচি ও বৈশিষ্ট্য, ধর্ম ও সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভিন্ন। খাবার ও পোশাকে কিছু মিল থাকলেও সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশ
হাসিনার সঙ্গে আমেরিকা বা পাকিস্তান, কারও সম্পর্কই বিশেষ অন্তরঙ্গ ছিল না। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে উঠেছিল। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে আমেরিকা চাপ বাড়াচ্ছিল। আমেরিকা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কিছু সামরিক সুবিধা চেয়েছিল। যা ছিল মালাক্কা প্রণালীর কাছাকাছি।
দ্বেষ, দেশ ও রাজ্য
বঙ্গ রাজনীতির বেশির ভাগটা এখন ধর্মীয় মেরুকরণসর্বস্ব। আর জি কর-উত্তর উপনির্বাচনে জয়ের ‘ছক্কা’ হাঁকিয়ে শাসক তৃণমূল আত্মবিশ্বাসী। বাইরের বিরোধীদের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি মনোযোগী ভিতরের উচ্চাভিলাষ দমনে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসু রাজ্যের শাসকের পক্ষে ক্রমশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে।
সাহিত্য, দর্শন ও শিকড়সন্ধানী কবি
শতবর্ষে নিসিম ইজিকিয়েল। ভারতীয় ইংরেজি ভাষার কবিতায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক নাম, একজন চিন্তক।
কেন্দ্রে আসছে জাপান
ইংরেজিতে লেখা গল্প-উপন্যাসের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে অনূদিত জাপানি গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা।
‘তোমায় ভালবাসি'
গণতন্ত্রের সমর্থক হিসেবে এ কথা বলার দায় থেকে যায়, যে-কোনও দেশেই বিরোধীরা, তা তিনি রাজনৈতিক দলের হন বা সংবাদমাধ্যমের, তাঁকে, তাঁদের বিনা কারণে কারাগারে বন্দি করা গণতন্ত্রের চরম লঙ্ঘন, মানবতাকে অস্বীকার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
স্মৃতি ও ইতিহাসে বাংলাদেশের বিবর্তন
১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে, আমার বাবা শিশিরকুমার বসু কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ১৭ জানুয়ারি ধানমণ্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “আমাদের কিছু নাই।” বাবার জবাব ছিল দৃঢ়—“আপনাদের সব আছে।” এই সাক্ষাৎ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে নেতাজির প্রেরণাকে তুলে ধরেছিল, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাহসিকতার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
শিখিয়েছে কে? উন্নতির পথ দেখিয়ে দিয়েছে কে? তুমি।”
সমরেন্দ্রর জীবনাবসানের পর, প্রযুক্তি আর মানুষের সম্পর্ক নিয়ে এক মনস্তাত্ত্বিক যাত্রা। পেশাদারি অ্যাপ, আধুনিক শ্মশানসেবা, আর মানবিকতার দ্বন্দ্ব এই গল্পের মূল সুর। জীবনের শেষে, সম্পর্কের হিসেব কি আসলেই মুছে যায়?
রবীন্দ্র-অনুবাদে অনুভবী স্বর
উইলিয়াম রাদিচের জীবন এক ভাষাপ্রতিভার জ্বলন্ত উদাহরণ, যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে বিশ্ব সাহিত্যে প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সংকল্প ছিল। তাঁর অনুবাদ কর্ম এবং সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মানবতার স্পর্শ রেখে গেছেন।
দাপট বাড়ছে হিন্দির
মাতৃভাষা না-জানা যে সবচেয়ে বড় অশিক্ষা, এই সহজ সত্যটুকু বাঙালি ভুলতে বসেছে।