কুয়ালালামপুর দেশের প্রধান ও সর্বপ্রসিদ্ধ শহর হল গোম্বাক নদীর তীরে কুয়ালালামপুর, প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বাস এখানে। ওখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে পুত্রাজায়া নামে নতুন শহরটিই হল দেশের রাজধানী (১৯৯৯ সাল থেকে)। সেখানকার ঝাঁ-চকচকে নব্য ধাঁচের বাড়ি ও সরকারি প্রাসাদোপম দপ্তরগুলি খুবই সুন্দর। গোলাপি গ্র্যানাইটের তৈরি বিশাল পুত্রা মসজিদ, সবুজ গম্বুজধারী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নীল জলের লেকের পাশে তিনতলা পুত্রাজায়া ব্রিজ। সেগওয়ের মতো ইনমোশন ইলেক্ট্রিক পার্সোনেল ট্রান্সপোর্টারে অল্প সময়ের মধ্যে শহরটিকে ঘুরে দেখে নেওয়া যায়। বেশ নতুন ধরনের আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা।
কুয়ালালামপুর শহরেই রয়েছে দেশের সংসদ ভবন, সুলতানের বাসস্থান ইস্তানা নেগারা ও আরও বহু দ্রষ্টব্য, যেমন পেটরোনাস ট্যুইন টাওয়ার্স ও সেন্ট্রাল পার্কার মধ্যে বহু প্রসিদ্ধ কুয়ালালামপুর টাওয়ার যেগুলি এককালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ অট্টালিকা হিসেবে পরিগণিত হত। শহরের ভেতর ও কাছাকাছি যাওয়া-আসার জন্য আছে মেট্রো, এল আর টি, ট্যাক্সি, বাস আর দূরের জন্য কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে ট্রেন ও কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা। চারদিকে ম্যলের ছড়াছড়ি, চোখধাঁধানো বিপণি সম্ভার, আর খাওয়ার জায়গার তো কোনও অভাবই নেই। বড় মাল ছাড়াও বহু পুরনো বাজার আছে যেখানে উঁকি মারলে দেশের সাধারণ মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রার একটা ঝাঁকিদর্শনও পাওয়া যায়। শহরের দ্রষ্টব্যের মধ্যে রয়েছে: জাতীয় মসজিদ, জাতীয় মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারি ↑ মিউজিয়াম নেগারা, সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন, ঐতিহাসিক মারডেকা স্কোয়্যার, যেখানে ১৯৫৭ সালের ৩১ অগস্ট ওদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল, ইত্যাদি।
কুয়ালালামপুর খাদ্যপ্রেমীদের স্বর্গ বললে ভুল বলা হবে না। এদেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফুডকোর্টে খাওয়া। এখন সেটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। বহু পর্যটন সংস্থা ২-৮ ঘণ্টাব্যাপী খাবার চেখে বেড়ানো ও নিজে হাতে রান্না শেখার ক্লাসের ব্যবস্থা করে থাকে। দেশের উত্তর দিকের প্রসিদ্ধ পেনাং শহরের জর্জটাউন এলাকায় এটা অবশ্যকরণীয় আনন্দের একটা। তবে মালয়েশিয়া মুসলিম রাষ্ট্র বলে প্রকাশ্যে শূকর-মাংস বিক্রয় ও মদ্যপান বা বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু বহুজাতিক খাবারের বিপণিগুলিরবিশেষ লাইসেন্স আছে।
This story is from the August 2023 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the August 2023 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।