চ লেছি দক্ষিণ সিকিমের ছোট্ট গ্রাম ইয়ংগংয়ে। গত বছরের বর্ষা। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। এনজেপি থেকে গাড়িতে ইয়ংগং পৌঁছতে সময় লাগে চার-সাড়ে চার ঘণ্টা। বর্ষায় গাড়ির গতিবেগ কমবে, ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে আরও সময় লাগতে পারে চিন্তা করেই প্রাতরাশের জন্য সময় নষ্ট করলাম না। স্যান্ডউইচ কিনে গাড়িতে উঠে বসলাম। কমবয়সি গাড়ির চালক অবশ্য আগেই প্রাতরাশ সেরে নিয়েছিল।
শিলিগুড়ি শহরের হট্টগোল পেরিয়ে কিছুটা যাওয়ার পরে সবুজের সমারোহ চোখকে আরাম দিল, মনকেও শান্তি দিল। রংপোয় এসে অল্প সময়ের চা বিরতি নিয়ে রংপোর সেতু পেরিয়ে সিকিমে প্রবেশ করলাম। বৃষ্টি কখনও পড়ছে, কখনও থামছে। এভাবে কিছুটা যাওয়ার পরে একটা বাঁকে এসে দাঁড়ালাম। সেখান থেকে তিস্তার বয়ে চলার সুন্দর দৃশ্য দেখা গেল। বর্ষায় তিস্তা খরস্রোতা, জলের রং ঘোলাটে। সিংতামে এসে মধ্যাহ্নভোজ সারতে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় গেল। ইয়ংগং যত কাছে আসছে, রাস্তা তত নড়বড়ে হচ্ছে, বর্ষায় তার আরও খারাপ দশা। তবে পথকষ্ট ভুলে চারপাশের গাঢ় সবুজের রূপে মোহিত হয়ে যাচ্ছিলাম।
ইয়ংগংয়ে আমাদের হোটেলে পৌঁছতে দুপুর হয়ে গেল। হোটেলের ম্যানেজার জিগমে ভুটিয়া স্বাগত জানালেন গলায় কাথাং পরিয়ে। পর্যটক বলতে আমরাই। ঘরে যাওয়ার আগে সুসজ্জিত লনে বসে টেমি চা-বাগানের চা খাওয়া হল। এত বৃষ্টি হলেও ঠান্ডা নেই, গরম জামাকাপড় আনা বৃথা। ঘরে ঢুকে অবাক হলাম সিলিং ফ্যান দেখে! রুম সার্ভিসের ছেলেটি বলল, সিকিমেও এখন বেশ গরম পড়ছে! মনে পড়ল, আসার পথে দেখেছিলাম পাহাড় কেটে, গাছ কেটে মস্ত উন্নয়নের কাজ চলছে!
তবে আবহাওয়া ঠান্ডা না হলেও বেশ আরামদায়ক। মন ভরে গেল ঘরের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে। সবুজ পাহাড়ের গায়ে ভাসমান সাদা মেঘ। চারদিক শান্ত নিরিবিলি। হাতে অখণ্ড সময়, ঘরের লাগোয়া বারান্দায় গিয়ে বসলাম। এক কাপ কফি হাতে নিয়ে মন হারিয়ে ফেললাম দূরের পাহাড়, মেঘ, পাখির ডাক আর পাতার শব্দে। পাহাড়ের কোলে দু'-একটা বাড়ি। মেঘ কিছুটা সরে যেতেই দূরে, পাহাড়ে, চোখে পড়ল সাদা ফিতের মতো জলপ্রপাত।
Esta historia es de la edición June 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición June 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।