পা
বৈশালী জেলার বেসাড় গ্রাম ও তার আশপাশে বানিয়া, চকরামদাস, লালপুর, কোলহুয়া, বীরপুর গ্রামের মাটিতে প্রাচীন লিচ্ছবী রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। গঙ্গার দীর্ঘ সেতু অতিক্রম করে সোজা উত্তরমুখী রাস্তা ধরে প্রথমে পৌঁছলাম হাজিপুর, তারপর লালগঞ্জ পার হয়ে শুরু হল মনোরম গ্রাম্য পথ। দু'পাশে সবুজ মাঠ, ঘন আম-লিচুর বাগান, কলাগাছের খেত। অশ্বত্থ গাছের ঘন ডালপালা চৈত্রদিনেও সনিবিড় ছায়া বিছিয়ে রেখেছে।
টনার রাজেন্দ্রনগর হয়ে গঙ্গার সেতুতে উঠতেই শস্যশ্যামলা সুবিস্তৃত ! দুই তীর ভেসে উঠল চোখের সামনে। মহানদীর দক্ষিণ ভাগ, অর্থাৎ যেখান থেকে আমরা এলাম, সেই পুণ্যভূমিই পাটলিপুত্র ! মহাশক্তিধর মগধ সাম্রাজ্যের রাজধানী ! যেখানে চলেছি, সেই উত্তর ভাগ সম্পদশালী বৃজি রাজ্যের রাজধানী বৈশালী! অনেকে মনে করেন খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে লিচ্ছবীদের শাসনাধীন বৈশালী ছিল এশিয়া মহাদেশের প্রথম প্রজাতন্ত্র।
বেসাড় বৃত্তান্ত বেসাড়ে পৌঁছে প্রথমেই এলাম 'রাজা বিশাল কা গড়' দেখতে। চারদিকে উঁচু-নিচু ঢেউখেলানো প্রান্তর। লালচে মাটি সবুজ ঘাসে ছেয়ে আছে। বেশ খানিকটা অঞ্চল রেলিং দিয়ে ঘেরা। রেলিংয়ের গেটের বাইরে বিহার পর্যটনের লাগানো বোর্ডে ইংরেজিতে লেখা, লিচ্ছবী রাজা বিশালের কেল্লার ধ্বংসাবশেষ। গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় মাটির নীচ থেকে স্থানে স্থানে বিক্ষিপ্ত ভাবে উঠে আসা প্রাচীন ইটের আভাস !
বেসাড়ের মাটিতে প্রথম যিনি প্রাচীন জনপদের সন্ধান পেয়েছিলেন তাঁর নাম জে স্টিফেনসন। ১৮৩৫ সালে তাঁর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় জার্নাল অব দি রয়্যাল সোসাইটি অব বেঙ্গলে। এরপর প্রথমে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম (১৮৬১-৬৪ এবং ১৮৮১), ১৯০৩-০৪ সাল নাগাদ পুরাতত্ত্ববিদ থিওডোর ব্লচ, ১৯১৩ সালে ডি বি স্পুনার এ অঞ্চলে খননকাজ চালান। স্যার কানিংহাম গড় অঞ্চলের চার দিকে চারখানা স্তম্ভ দেখতে পেয়েছিলেন। শোনা যায় গড়কে ঘিরে একটি পরিখাও ছিল। সেগুলির কোনওটাই আজ আর নেই। ব্লচ উদ্ধার করলেন গুপ্ত যুগের ঘরবাড়ির অবশেষ, দুই ফুট ব্যাসের কুয়ো। পরবর্তী কালে স্পুনার তুলে আনলেন কুষাণ যুগ আর মৌর্য যুগের নানা সামগ্রী। সেই সব প্রত্নসামগ্রীর বেশ কিছু রাখা আছে বৈশালীর আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়ামে।
This story is from the March 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the March 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।