দুপায়ে হাঁটতে পারে আর বুদ্ধিতে মানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি, এমন প্রাণীরা হল গরিলা, শিম্পাঞ্জি এবং ওরাংউটান। প্রকৃতিতে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করা গরিলা ও শিম্পাঞ্জিদের দেখার জন্য যেতে হয় রুয়ান্ডা, উগান্ডা বা কঙ্গো। সেই পথে যাওয়ার সুযোগ হল এতদিন পর। খোঁজখবর নিয়ে জানলাম, তারা থাকে একে অপরের লাগোয়ো মাত্র দু'টি বিশেষ অঞ্চলে, ভিরুঙ্গা কনজার্ভেশন এরিয়া আর বুইন্ডি ইমপেনিট্রেবল ন্যাশনাল পার্কে। বন্য গরিলার সংখ্যা হাজারের কিছু বেশি। কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক, রুয়ান্ডার ভলক্যানো ন্যাশনাল পার্ক এবং উগান্ডার মুগাহিঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক মিলিয়ে একত্রে যে— কনজার্ভেশন এরিয়া, সেখানে বসবাস প্রায় অর্ধেক গরিলার আর বাকি অর্ধেক থাকে উগান্ডার দক্ষিণ-পশ্চিমের বুইন্ডি ন্যাশনাল পার্কে।
বুইন্ডি ইমপেনিট্রেবল ন্যাশনাল পার্কের রুশাগা গেটটি রুয়ান্ডার সীমান্ত থেকে তিন ঘণ্টা দূরে। সেখানেই গরিলার দর্শন পাওয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ বলে ঠিক হল, রুয়ান্ডা থেকে উগান্ডা যাওয়া হবে। রুয়ান্ডার বিখ্যাত ভলক্যানো ন্যাশনাল পার্কে দেখতে পাওয়া যায় গোল্ডেন মাঙ্কি, যেটি পৃথিবীতে একমাত্র ওখানেই পাওয়া যায়, আর কপাল ভালো থাকলে ওই পার্কেই শিম্পাঞ্জি অথবা গরিলার মুখোমুখিও হওয়া যায়।
হাজার পাহাড়ের দেশে মুম্বই থেকে কেনিয়া এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ছ'ঘণ্টা দেরিতে রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে পৌঁছল সন্ধেয়। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন সাজানো শহর কিগালি। একেবারে ডিনার সেরে, তিন ঘণ্টার সফর শেষে রাত দশটায় ভলক্যানো ন্যাশনাল পার্ক লাগোয়া লা বাম্বু গরিলা লজে ঢুকলাম।
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।