চারপাশে অজস্র জেলিফিশ একেবারে থইথই করছে। তাদের সঙ্গে সাঁতার কাটছি। এটা ঘটে গেল একেবারে বাস্তবে! গায়ে জেলিফিশের হুল ফুটে যাওয়ার সুযোগই নেই। কারণ তারা সকলেই হুলবিহীন।
এ ব্রহ্মাণ্ডে হাতে গোনা পাঁচ-ছয়টি লেক আছে, যেগুলিতে হুলবিহীন জেলিফিশদের দেখা মেলে। মূলত পালাউ দ্বীপরাষ্ট্র আর ইন্দোনেশিয়ায় এই সব লেক। কোনও এক কালে এই হ্রদগুলির মুখ সমুদ্রের দিকে খোলা ছিল আর সামুদ্রিক প্রাণীরাও অবাধে যাতায়াত করত। তারপর ধীরে ধীরে হ্রদগুলি সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং জেলিফিশ-সহ বেশ কিছু প্রাণী সেই হ্রদে আটকে পড়ে। জেলিফিশদের শিকার করে যে-প্রাণীরা তারা সমুদ্রেই রয়ে গেল, ফলে জেলিফিশরা পেয়ে গেল এন্তার বংশবিস্তারের সুযোগ। আর-একটা ব্যাপারও ঘটল। যে হুল দিয়ে তারা আত্মরক্ষা করত, ব্যবহারের অভাবে সেই হুল অকেজো হতে হতে লোপ পেয়ে গেল। অন্তত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তাই।
জেলিফিশ লেকে হুলহীন জেলিফিশদের সঙ্গে সাঁতরানোর ইচ্ছে ছিল বহু দিনের। সে ইচ্ছে সার্থক করতে ইন্দোনেশিয়ার কাকাবান দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হলাম। প্রায় আঠারো হাজারের উপর দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্রে এই একরত্তি দ্বীপটিকে চিহ্নিত করা দুষ্কর। গুগল ম্যাপে প্রচুর জুম-ইন করলে তবে দেখা যায়, বোর্নিও আর সুলাওয়েসি দ্বীপের মাঝখানে, সেলিবিসি সি-তে আছে দেরাওয়ান দ্বীপপুঞ্জ। তারই একটি দ্বীপ কাকাবান। কাকাবানে লোকবসতি নেই। তাই আমরা দেরাওয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ, মারাটুয়াকে বেছে নিলাম আমাদের বেস ক্যাম্প হিসেবে।
বোর্নিও দ্বীপের বেরাউ এয়ারপোর্ট থেকে ক গাড়িতে আড়াই ঘণ্টার পথ পেরিয়ে আমরা যখন তানজাং বাটু বন্দরে পৌঁছলাম, ততক্ষণে বেলা গড়িয়ে সূর্য ডুবুডুবু। একটা ছোট ফোর-সিটার স্পিডবোটে রওনা হলাম মারাটুয়া দ্বীপের দিকে। সন্ধে যত নেমে আসতে থাকল ততই ভরা কোটালের উসকানিতে উত্তাল হল সমুদ্র। একতলা বাড়ির সমান উঁচু ঢেউগুলো নৌকোর পাশে সাপের ফণার মতো মাথা তুলে এগিয়ে এল। স্পিডবোটটা যেন মোচার খোলা! কখনও সাঁই করে উঠে পড়ল ঢেউয়ের মাথায়, পরমুহূর্তে ধাঁ করে নেমে এল দশ-বারো ফুট নীচে। জল ছিটকে এসে মাথা থেকে পা অবধি ভিজিয়ে দিল।
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।