দক্ষিণ কেরল কোচি-এর্নাকুলাম পর্তুগিজ উপনিবেশ কোচিনই আজকের কোচি। ভেম্বানাদের ব্যাকওয়াটারে ঘেরা এই শহরে রয়েছে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বন্দর, ভারতের জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও নৌসেনার বড় ঘাঁটি। এর্নাকুলাম তুলনায় নতুন ও আধুনিক শহর। কলকাতা থেকে সরাসরি রেল যোগাযোগ রয়েছে এর্নাকুলামের সঙ্গে।
কোচি ও এনাকুলাম যমজ শহর। এর্নাকুলামকে কোচির থেকে আলাদা করেছে ভেম্বানাদ লেক। একাধিক ব্রিজ ও ফেরি মারফত যোগাযোগ রয়েছে দুই শহরের। তবে পর্যটকদের দেখার জায়গাগুলির বেশিরভাগই কোচি অঞ্চলে। সুবিধাজনক হবে ফোর্ট কোচি অঞ্চলে থেকে কোচি ঘুরে নেওয়া। এর্নাকুলাম থেকে প্রথমেই, ব্রিজ পেরিয়ে উইলিংডন দ্বীপ। উইলিংডনের জাহাজঘাটা থেকেই ছাড়ে লাক্ষাদ্বীপগামী ও অন্যান্য সামুদ্রিক ক্রুজের প্রমোদতরণীগুলি। রয়েছে নৌসেনার ঘাঁটি ও এয়ারস্ট্রিপ।
ড় ব চি এরপর আর-একটি ব্রিজ পেরিয়ে ফোর্ট কোচি অঞ্চল। ফোর্ট কোচি পুরনো শহর। অনেক গাছপালা, টালি দেওয়া বাড়ি নিয়ে একটু সাবেকি ধাঁচের। প্রথম দর্শনেই ভালো লেগে যায়। প্রধান দ্রষ্টব্যগুলি এই অঞ্চলেই। প্রথমেই চলে আসুন ভাইপিন ফেরিঘাটে। বড় ফেরিতে গাড়ি ও লোকজন ভেম্বানাদ লেক পেরিয়ে যায় ভাইপিন দ্বীপে। আশপাশে রয়েছে কিছু ভাসমান রেস্তোরাঁ। ঘুরে নিন ভাইপিন বিচ ও পার্ক। এবার অটো বা বাসে চলে আসুন ২৩ কিলোমিটার দূরে চেরাই বিচে। সরু একফালি জমির এক পাশে আরবসাগর, পিছনে ব্যাকওয়াটার। অন্যরকম সৌন্দর্য চেরাইয়ের। আপাত নির্জন চেরাই থেকে সূর্যাস্ত মোহময়। দ্বিতীয় দিন সকালে চলুন ফোর্ট কোচির দ্রষ্টব্যগুলি দেখতে। প্রথমে কেরলীয় ও পর্তুগিজ স্থাপত্যের সংমিশ্রণে তৈরি
মাত্তানচেরি প্যালেস ও মিউজিয়াম। পর্তুগিজরা এটি নির্মাণ করে কোচির রাজাকে উপঢৌকন হিসেবে দেয়। রাজাদের ব্যবহৃত নানা জিনিস ও পোর্ট্রেট রাখা রয়েছে এখানে। শনিবার বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ও দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা অবধি খোলা। একটু দূরেই ইহুদিদের শহর বা জিউ টাউন। বিভিন্ন ধরনের কাঠ ও ধাতুর তৈরি অ্যান্টিকের দোকান রয়েছে জিউ টাউনে। এ পথের শেষেই ইহুদি উপাসনালয় সিনাগগ।
Bu hikaye Bhraman dergisinin August 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin August 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।