এবছর জানুয়ারি মাসে কাশ্মীর ভ্রমণে এসে কিছুদিন এদিক-সেদিক ঘুরে চলে এলাম লোলাব উপত্যকায়। শ্রীনগর থেকে লোলাব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। এসে দেখলাম, এবার এখানে বরফপাত বেশ কম হয়েছে। শীতের তুষারমোড়া সৌন্দর্য দেখব বলে এসেছি। অথচ মন ভরছে না! রাতে লোলাবের স্থানীয় বন্ধু হামিদ ও মকবুলের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হল, পরদিন গাড়িতে সাধনা টপ অবধি যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।
সাধনা টপ (উচ্চতা ১০,২৬৯ ফুট) বছরের এই সময়টায় বরফ পড়ে প্রায় অগম্য হয়ে যায়। অতীতে এর নাম ছিল নামটাচুন পাস। সত্তরের দশকে কাশ্মীরে যখন একচেটিয়া হিন্দি সিনেমার শুটিং শুরু হল, কোনও ভাবে সে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাধনার নামে পরিচিতি পেয়ে যায় পাসটি। করনা উপত্যকায় পৌঁছনোর একমাত্র রাস্তা গিয়েছে সাধনা টপ হয়ে। দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই। রাস্তাটি ভারতীয় ফৌজের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সামসবারি পর্বতমালার ওপাশে কিষানগঙ্গা সংলগ্ন করনা উপত্যকায় ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখা। বস্তুত কিষানগঙ্গা নদীটিই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। নদীর ওপাশে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।
সাধনা টপে যাব বলে, লোলাব থেকে কুপওয়ারা হয়ে ডান দিকের রাস্তা ধরলাম। কিছুটা গিয়ে ক্রালপোরা। এখান থেকে ডান দিকের রাস্তায় চলে যাওয়া যায় কেরান উপত্যকা। পার হতে হয় ফুরকিয়া পাস। আলাদা পারমিট লাগে ওই পথে যেতে, এ সময় তা পাওয়া যায় না। পারমিট লাগে করনা যেতেও, তবে আমরা সাধনা পাস অবধিই যাব।
Bu hikaye Bhraman dergisinin December 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin December 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।