দ্বি তীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজ সৈন্যরা জাপানি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য তিনসুকিয়া এবং আশপাশের অঞ্চলে সেনাঘাঁটি স্থাপন করে। যুদ্ধ শেষ হল। রণক্লান্ত ব্রিটিশ সৈন্যরা ক্যাম্প গুটিয়ে চলে গেল। ফেলে গেল অশ্বারোহী বাহিনীর বেশ কিছু ঘোড়াকে। ব্রহ্মপুত্র নদী আর জঙ্গলঘেরা গুইজান সংলগ্ন এলাকায় তারা অভিভাবকহীন হয়ে ঘুরতে থাকল ।
এরপর ১৯৫০-এর বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে। ঘোড়াগুলি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে যায় নদীবক্ষে ছোট-বড় দ্বীপগুলিতে। নির্জন জঙ্গলময় দ্বীপের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে, নিজেদের মতো করে বেঁচেবর্তে রইল তারা।
ব্রিটিশ অশ্বারোহী বাহিনীর সেই 'ফেরাল’ ঘোড়াগুলির তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রজন্ম এখন
জংলাদ্বীপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামের ডিব্ৰু-সইখোয়া জাতীয় উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ এই বুনো ঘোড়াদের দেখতে কামরূপ এক্সপ্রেসে নিউ তিনসুকিয়া রেলস্টেশনে নামলাম, রাত তিনটেয়। তিনসুকিয়া শহরের ঘুম ভাঙেনি তখনও। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সৌরভ গাড়ি নিয়ে এল। স্টেশন থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ডিব্রু নদীর পাড়ে, গুইজান গ্রামে যখন পৌঁছলাম তখন ভোরের আলো সবে ফুটছে। নদীর চরেই এক অসাধারণ পরিবেশে ‘বনশ্রী ইকো ক্যাম্প'। ক্যাম্পের ঠিক পিছনে বিস্তীর্ণ চা-বাগান, রাঙাগড়া টি এস্টেট দশ বছর আগে, শীতের সময় এখানে এসেছিলাম পাখি দেখতে। শীতে এখানে ঘোড়া দেখার সুযোগ নেই। এবার তাই ভরা বর্ষায় আসা। এই ক্যাম্পের রূপকার বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও ডিব্রু সইখোয়া কনজারভেশন সোসাইটির সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন ওরফে বেণুদা। ডিব্রু-সইখোয়া ভ্রমণের সব ব্যবস্থা এঁরাই করে দেবেন। পূর্ব আসামে, ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ পাড়ে, ডিব্ৰুগড় এবং তিনসুকিয়া জেলা জুড়ে বিস্তৃত ডিব্ৰু-সইখোয়া জাতীয় উদ্যান। ৩৪০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এই অরণ্যের উত্তরে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও লোহিত নদী, দক্ষিণে ডিব্রু নদী। তিন নদ-নদী দিয়ে ঘেরা এই অরণ্য প্রায় ৩৮০ প্রজাতির পাখির বাসভূমি। এগুলির মধ্যে রয়েছে বার-হেডেড গুজ, ব্রাউন-চিকড রেল, ওরিয়েন্টাল পাইড হর্নবিল, গ্রেটার অ্যাডজুট্যান্ট স্টর্ক, গ্রেট ক্রেস্টেড গ্রেব, এশিয়ান ওপেনবিল স্টর্ক, রাডি শেলডাক ইত্যাদি।
Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।