গঙ্গোত্রী চিরবাসা ভুজবাসা
Bhraman|June 2024
গঙ্গোত্রী থেকে গোমুখের পথে চিরবাসা হয়ে ভুজবাসা পর্যন্ত ঘোড়া যায়। যাঁরা হাঁটতে অপারগ তাঁরা গোমুখ পর্যন্ত যেতে না পারলেও চিরবাসা-ভুজবাসায় এসে যে নিসর্গ দেখবেন, তা চিরকাল চোখে লেগে থাকবে। ঘোর বর্ষা আর শীত ছাড়া যে-কোনও সময়েই যাওয়া যেতে পারে।
লেখা ও ছবি: অনিন্দ্য মজুমদার
গঙ্গোত্রী চিরবাসা ভুজবাসা

ঠিক সকাল সাতটায় হরিদ্বার থেকে গঙ্গোত্রীগামী বাসের চাকা গড়াল। মা সমস্বরে যাত্রীরা চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘হর হর গঙ্গে'। জেলা সদর উত্তরকাশীতে পৌঁছে পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি। তারপর আবার চলা শুরু। গঙ্গনানি, হরশিল পেরিয়ে রাত্রি আটটা নাগাদ গঙ্গোত্রী পৌঁছলাম (উচ্চতা ৩,০৬৫ মিটার)। এত রাতেও গঙ্গোত্রী বাজার বেশ জমজমাট। পুজোর উপচারের দোকান, চাউমিন পিৎজার রেস্তোরাঁ, থাকার হোটেল। আমরা নদীর ওপারে গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের (জিএমভিএন) ট্যুরিস্ট লজ অগ্রিম বুক করে এসেছি। কিন্তু ট্যুরিস্ট লজে মাত্র এক রাত্রির জন্য ঘর পাওয়া গেছে। উচ্চতার সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে আমরা আর-একটা দিন কাটাব গঙ্গোত্রীতে। পরদিন সকালে তাই প্রধান কাজ হল নতুন ঠাঁই খোঁজা। প্রথমে সূর্যকুণ্ড দর্শন সেরে নিই। জিএমভিএন লজ থেকে দু'পা দূরত্বে স্রোতস্বিনী ভাগীরথী, জলপ্রপাত হয়ে আছড়ে পড়ছে। দূরে উঁকি দিচ্ছে সুদর্শন তুষারশৃঙ্গ। পুরাণ অনুযায়ী, সত্য যুগে রাজা ভগীরথের কঠোর তপস্যার ফলে, এই স্থানে স্বর্গ থেকে মর্তে অবতরণ করেন গঙ্গা। হিন্দিতে 'গঙ্গা উতারি' থেকেই সম্ভবত এসেছে গঙ্গোত্রী নামটা।

পরের দ্রষ্টব্য গঙ্গোত্রী মন্দির। নদী পেরিয়ে বাজার হয়ে যাওয়া যায়, তবে আমরা এপারের নিরিবিলি রাস্তা ধরে এগোলাম। ডান হাতে পড়ল তপোবনম হিরণ্যগর্ভ আর্ট গ্যালারি। এখানে কুটির করে থাকতেন স্বামী সুন্দরানন্দ, যাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল, ‘ছবি তোলা সাধু’ (দ্য সাধু হু ক্লিকস)। চার দশক ধরে তাঁর তোলা হিমালয়ের অজস্র ফোটোগ্রাফ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পাঁচ তলা সংগ্রহশালা।

Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

BHRAMAN DERGISINDEN DAHA FAZLA HIKAYETümünü görüntüle
উমরুকুঠির অতিথি
Bhraman

উমরুকুঠির অতিথি

শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।

time-read
4 dak  |
November 2024
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
Bhraman

পথের বাঁকে তিলওয়ারা

তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।

time-read
1 min  |
November 2024
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
Bhraman

কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন

কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।

time-read
10+ dak  |
November 2024
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
Bhraman

নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।

time-read
3 dak  |
November 2024
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
Bhraman

সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন

বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।

time-read
3 dak  |
November 2024
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
Bhraman

ওমানের মরুতে মরূদ্যানে

ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

time-read
6 dak  |
November 2024
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
Bhraman

ওড়িশার জলে জঙ্গলে

নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।

time-read
5 dak  |
November 2024
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
Bhraman

গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ

দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।

time-read
6 dak  |
November 2024
কানাকাটা পাস
Bhraman

কানাকাটা পাস

কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।

time-read
8 dak  |
November 2024
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
Bhraman

ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক

আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.​com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।

time-read
1 min  |
November 2024