ভোরের আলো ফুটতেই চটপট বেরিয়ে পড়লাম। আগের দিন এখানে পৌঁছতে সন্ধে হয়ে গিয়েছিল, নিয়নের আলোয় সামান্য ধারণা করা গেলেও ভালো করে বুঝতে পারিনি এলাকাটা। আমাদের গেস্ট হাউসের ডান দিকের পথে খানিকটা এগিয়ে, আবার ডান দিকে ঘুরলেই পুরনো মারফা গ্রাম। আমরা সেই দিকেই চললাম।
অক্টোবর মাস। এই সময় নেপালের লোয়ার মুস্তাং উপত্যকায় ভোরবেলা বেশ শিরশিরানি ধরানো ঠান্ডা। উপত্যকা জুড়ে বাতাসের মৃদু শীতল স্রোত। গায়ে একটা হালকা জ্যাকেট চাপাতে হয়েছে। ডান দিকে ঘুরে ভাঙাচোরা ধুলোপথে একটু এগোতেই দেখা গেল ধবধবে সাদা একটি পাথরের দেউড়ি, গ্রামের প্রবেশ পথ। ভিতরে ঢুকতেই মনে হল যেন অন্য দুনিয়ায় এলাম! পাথর বিছানো পথ, সাদা রং করা পাথুরে দেওয়াল, লাল রঙের কাঠের কারুকার্য করা দরজা-জানালা। চারদিকে ধুপি গাছের একটা বুনো অথচ মিষ্টি গন্ধ। বোঝাই যায় নিজেদের চারপাশটাকে যত্ন করেন এ । গ্রামের বাসিন্দারা। সেজন্য পরিশ্রমও করেন। মারফা শব্দের আক্ষরিক অর্থও পরিশ্রমী ■ মানুষের আবাস । নেপালের ধবলগিরি এবং অন্নপূর্ণার মাঝের এই উপত্যকা অঞ্চলের নাম থাকখোলা, = এখানকার অধিবাসীরা থাকালি নামে পরিচিত। - অতীতে এঁরা তিব্বত থেকে এসেছিলেন। এক কালে তিব্বতের সঙ্গে লবণের একচেটিয়া ব্যবসা ছিল থাকালিদের। থাকালিদের বেশিরভাগই বৌদ্ধ, অল্পবিস্তর হিন্দু। থাকালি অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলির মধ্যে মারফা এবং আরও উত্তরে জমসম বেশ বর্ষিষ্ণু। গ্রামের ■ বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা আপেলের চাষ আর ■ দেশি-বিদেশি পর্যটক ও ট্রেকারদের সহায়তা। । উচ্চ মানের প্রচুর আপেল ফলে বলে তা থেকে জ্যাম, জেলি ইত্যাদিও তৈরি করেন স্থানীয়রা। = দেশ-বিদেশে মারফার আর-এক সুনাম আপেল ব্র্যান্ডির জন্য। আগের দিন নৈশভোজে উৎকৃষ্টতম থাকালি - থালির আস্বাদ পেয়েছি। ডাল, ভাত, তরকারি, মণি-দেওয়াল। নানাবিধ আচার, পাঁপড় মিলিয়ে বেশ সুস্বাদু !
গ্রামের পথে টানা হাতেগোনা ক'জন প্রৌঢ় হাতে মণিযন্ত্র নিয়ে মণি-দেওয়ালের যন্ত্রগুলি ঘোরাতে ঘোরাতে চলেছেন। এছাড়া এত সকালে রাস্তায় জনমানব নেই। একটি বাড়ির সামনে চারকোনা কাঠকয়লার উনুনের ধিকিধিকি আঁচে পুড়ছে ধূপি গাছের ডালপাতা। কেউ বা ওই ভোরেই উঠে পড়ে বারান্দা ও উঠোনে ঝাঁট দিচ্ছেন। কেউ বা গুছিয়ে রাখছেন পশরা।
Bu hikaye Bhraman dergisinin April 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin April 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।