স কাল দশটা নাগাদ নেমে পড়লাম নাজিবাবাদ স্টেশনে। উত্তরপ্রদেশের অপরিসর স্টেশন। অথচ নামার কথা ছিল বরেলি। শেষ মুহূর্তে সহযাত্রী তিন বন্ধুর এক জন ঘণ্টা-মিনিট-কিলোমিটারের হিসেব কষে দেখাল, আমরা নাজিবাবাদ থেকে যাত্রা শুরু করতে পারি। গাড়িচালক সুবোধকে তক্ষুনি ফোন করে বলা হল নাজিবাবাদ স্টেশনে এসে দাঁড়াতে।
২০২৪-এর মার্চের প্রথম সপ্তাহ। শহর ছাড়াতেই চিরপরিচিত উত্তরপ্রদেশের রুখা-শুখা ছবি। এখানে বেশ আখের চাষ হয়, সঙ্গে তুলো। বাইপাসের ধারের একটি ধারায় পনির, তড়কা আর রুটি দিয়ে একটু ভারী মধ্যাহ্নভোজ করে নিলাম। সঙ্গে ঘন দুধের স্পেশাল চা। উত্তরাখণ্ডে ঢুকতেই প্রাকৃতিক দৃশ্যের চোখে পড়ার মতো বদল হল। হরিদ্বারকে এড়িয়ে আমরা বাইপাস ধরলাম। এ পথে যাওয়ার জন্য আলাদা পরচি কাটতে হয়। সবুজের ঘনত্ব বাড়তে শুরু করল। দেওদারের আধিক্যই বেশি। দেখতে দেখতে চলে এলাম রাজাজি ন্যাশনাল পার্কের রাস্তায়। পাইন-দেওদারের অরণ্য মহলে হাতি, হরিণ, সম্বর, নীলগাই, চিতাবাঘ, লাঙ্গুর এবং ১৮০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে।
এক দিকে সবুজ পাহাড়, আর-এক দিকে আগ্রা খাল, সঙ্গে বৃক্ষবৈচিত্র — পথের দু'ধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়তে থাকে। মসৃণ হাইওয়ে ধরে আমরা চলে এলাম ছোট পাহাড়ি গঞ্জ নরেন্দ্রনগরে। পাইনের বনে হিমেল হাওয়া খেলছে, সূর্যের আলো চলকে পড়ছে পাতায়। এ রাস্তার ধারে ধাবা, রেস্তোরাঁ, ফলের দোকান অনেক। উত্তরাখণ্ডের তেহেরি জেলার চাম্বা থেকে রাস্তা ত্রিমুখী হল। তিনটি রাস্তা যথাক্রমে তেহরি, নিউ তেহরি আর কানাতালে চলেছে। আমরা বাঁদিকের রাস্তা ধরলাম। দোকানপাটবিকিকিনি নিয়ে ঘিঞ্জি পাহাড়ি শহর চাম্বা। শহর ছাড়াতে বাঁদিকের খাদের ওপারে পাহাড়সারি দেখে গাড়ি থামানো হল। হিমেল বাতাসের দাপটের মধ্যেই ছবি উঠল। পাইন-জুনিপার দেওদারের সারির ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে পর্বতশৃঙ্গেরা। ডান দিকে রাস্তা পাহাড়ের উপরে উঠেছে।
Bu hikaye Bhraman dergisinin April 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin April 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।