হি মালয়ের তুষারশৃঙ্গের যে শোভা কুমায়ুন থেকে দেখা যায় তার তুলনা মেলা ভার। তবে পুরো কুমায়ুন একবারে ঘুরে দেখা বেশ সময়সাপেক্ষ। আমাদের এই ভ্রমণ শুরু হচ্ছে লালকুঁয়া বা হলদোয়ানিতে নেমে মুক্তেশ্বর থেকে। অরণ্যপ্রেমীরা কুমায়ুন ভ্রমণের শুরুতেই করবেট অরণ্যে ঘুরে আসতে পারেন। দলের সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী গাড়ি ভাড়া করে নেওয়াই ভালো। এই ভ্রমণপথে মুক্তেশ্বরে একদিন, বিনসরে দু'দিন, চৌকরিতে একদিন, মুন্সিয়ারিতে দু'দিন, কৌশানিতে একদিন, নৈনিতালে দুটি দিন থাকা যেতে পারে। তবে, নিজের সাধ এবং সাধ্য মিলিয়ে নিজের মতো ভ্রমণসূচি তৈরি করে নিতে পারেন। অরণ্যপ্রেমীরা লালকুঁয়া থেকে করবেট অরণ্যে দু'দিন থেকে মুক্তেশ্বরে আসতে পারেন।
মুক্তেশ্বর কালাধুঙ্গি থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে মুক্তেশ্বর (উচ্চতা ২,২৮৬ মিটার)। তুলনামূলক ভাবে নির্জন ও মনোমুগ্ধকর জায়গা। চারপাশে আপেল, অ্যাপ্রিকট ও চেরিবাগান। রাস্তার পাশে সুপ্রাচীন পাইন ও দেওদার গাছ। পুরনো দিনের কাঠের বাড়ির পোস্টঅফিস বা তার সংলগ্ন অপরিসর খাবারের দোকানে বসে মনে হবে, সময় এখানে সত্যিই থমকে আছে। মুক্তেশ্বরের প্রধান আকর্ষণ প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে, তিনশো বছরের পুরনো মুক্তেশ্বর শিবমন্দির। পাহাড়ের উপর কিছুটা পথ ট্রেক করতে হয়। সঙ্গে গাইড নিতে পারেন। এই প্রাচীন মন্দির দেখে আর-একটু উপরে উঠলেই পৌঁছে যাবেন চাউলি কি জালি-তে। পাহাড়ের উপর উঠতে উঠতে হঠাৎ দেখবেন এক জায়গায় পাহাড় শেষ, সামনেই ৩,০০০ মিটার গভীর খাদ একদম খাড়া নেমে গিয়েছে। জায়গাটি যেন একটি বারান্দার মতো ঝুলে রয়েছে সেই খাদের উপর। বাতাস ও বৃষ্টি উপরের পাথরগুলোকে ক্ষইয়ে নানা আকার দিয়েছে। চাউলি কি জালি থেকে ফেরার সময় গাইডের সঙ্গে একটু ঘুরপথে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নেমে দেখতে পাবেন মৌনীবাবার আস্তানা, যাঁকে বছরে একবারও হয়তো দেখা যায় না। নির্জন পথে দেখা পেতে পারেন কালিজ ফেজান্ট, ব্লু ম্যাগপাই, বিভিন্ন ধরনের লাফিং থ্রাশ, টিট, বার্বেট এবং আরও অনেক পাখির।
Bu hikaye Bhraman dergisinin July 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin July 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।