CATEGORIES
فئات
অন্তর্নিহিত আন্তর্জাতিকতা থেকে বিচ্যুত
বাংলা ভাষার মতো আধুনিক ভাষার অসাধারণত্বে টিকে থাকতে গেলে একটা মন, মেজাজ এবং পরিকাঠামো দরকার। কিন্তু বাজার তো সেই পরিকাঠামো দিতে পারছে না।
বাঙালির বাংলাভাষা
কোনও জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিতে বলপ্রয়োগের অধিকার রাষ্ট্রের নেই। কোনও ভাষা বা সমাজেরও নেই। কিন্তু প্রতিদিন ভাষার মৃত্যু ঘটে। ভাষাভাষীর সংখ্যা যত হ্রাস পায়, ভাষা ততই মৃত্যুর পথে চলে।
হ্যামলেট
প্রযোজনাটির স্থানিক আর সাময়িক পরিবর্তন দর্শককে নিয়ে যায় দ্বিধা ও উন্মাদনার এক কারারুদ্ধ পৃথিবীতে।
ক্রীড়া রাজনীতি, প্রান্তিক ক্রীড়া
ক্রীড়াবিদের অপমানও অবজ্ঞার সম্মুখীন। হয়তো সে-ক্রীড়া প্রান্তিক বলে, হয়তো নারীর বলেও।
জীবিত ও মৃত
চমকের লোভে মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে শুরু করেছে। এই উল্লাস এক ব্যাধি। চমকের লোভে মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে শুরু করেছে। এই উল্লাস এক ব্যাধি।
কবিতার অর্থের ধ্বনি
মনের ভিতরে ও বাইরে ঘটে চলা সব বিশৃঙ্খলার প্রত্যুত্তরে ফ্রস্ট তাঁর কবিতায় বারবার গড়ে তুলেছেন অর্থ ও ধ্বনির সংহত রূপবান কাঠামো।
জীবনের অসমতল অনুবাদ
সমারসেট মমের গল্প উপন্যাসের ভাষা সুডৌল, কিন্তু সেই ভাষার আশ্রয়ে প্রকাশিত হয়েছে মলিন, বিমর্ষ, বিরূপ জীবনের প্রচ্ছদ।
অন্তরের যন্ত্রণার ঔপন্যাসিক
আস্তুরিয়াস-এর কলমে জাদুবাস্তবতার সঙ্গে পরাবাস্তবতার মিশেল ঘটে। অপার্থিব ঘটনা, স্বপ্ন, কল্পনায় থাকে প্রাচীন বিশ্বাস, ধর্মবোধ এবং রীতিনীতি।
বিস্মৃত বিভিন্নতার স্পর্শ
নবোকভ একজন সাহসী লেখক যিনি মানুষের মন এবং সমাজবাস্তবতার জটিল নানা বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবিয়ে তুলেছেন।
সৌন্দর্য ও বিষাদ
কাওয়াবাতার বিশ্বাস, শিল্পের সার্থকতার প্রাথমিক দর্শনই হল, যে-কোনও মামুলি উপকরণও হয়ে উঠতে পারে অপরূপ সৌন্দর্যের অংশ। whic
হিমশৈলের গভীরে
আমেরিকান জীবনের নগরায়নের অসাম্য, বিংশ শতাব্দর প্রথম কয়েক দশকে দেশটির অবস্থান অনায়াসে উঠে এসেছে হেমিংওয়ের সাহিত্যে।
আত্ম আর অপরের সংলাপ
বাস্তবের ধারণাকে প্রতিস্থাপন করতে করতে সমস্ত ধ্রুবকে অর্বাচীন মুহূর্তের বিচারে অর্থহীন সাব্যস্ত করা—— এইটাই বোর্হেসের আখ্যানের চলনের মূল।
অমৃতের উত্তরাধিকার
সমরেশ বসুর দীর্ঘ সাহিত্যযাত্রা যেন দারিদ্র, সংগ্রাম, সংঘাত, প্রেমের ছলনা, সব কিছু উত্তীর্ণ হয়ে এনে দেয় এক অমৃতের স্বাদ।
বহুমুখী লিখনপ্রতিভা
শব্দ ও বাক্যজালে তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছে হৃদয় সংবেদী। ধ্বংসের সাক্ষী থেকেও তিনি নির্বাচন করেছিলেন আলোর রাজপথ।
একদিন প্রতিদিন: ইজ্রায়েল-প্যালেস্টাইন
চোখের জলকে ছাপিয়ে ওঠে একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীকে আর-একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর অবদমিত করে রাখার প্রায়বর্ণবিদ্বেষী এক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার দৈনন্দিন ইতিহাসের একটি নির্মম ও বাস্তব ছবি।
একটি ভালবাসার পরিসর
এই উপন্যাস লেখকের নিজের অন্তরের কাহিনি। তিনি আত্মজীবনী লেখেননি, কিন্তু আপন চেতনাকে মন্থন করেই তিনি রচনা করেছেন এই কাহিনি। আপন বোধ দিয়েই নির্মাণ করেছেন কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র।
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনেই প্রয়োজনীয়
প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার নিরিখে লেখক উপস্থাপন করেছেন কয়েকজন কিংবদন্তি সঙ্গীতব্যক্তিত্বের কথা, যাঁদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ভেঙে দেয় আমাদের অনেক চেনা ভাবনাকে।
যুক্তিসর্বস্বতার বিষক্রিয়া
ম্যাকগিলক্রিস্ট প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি আধুনিক সভ্যতায় মানুষের মস্তিষ্কে মালিকের জায়গাটা বেদখল হয়ে যাচ্ছে? আমরা কি ডান গোলার্ধ ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের মতো জীবনযাপন করছি আধুনিক পৃথিবীতে?
বোধের বন্ধুতা
এই বই যতটা স্মৃতিচারণ, ততটাই আত্মজৈবনীক, ততটাই একটি অপস্রিয়মাণ আধুনিক সেলফের দলিল। এখানে ফিকে হয়ে যাওয়া আধুনিকতার আত্মতায়, পিতা এবং পুত্র একাকার হয়ে যান, হয়ে যান একে অপরের ‘বন্ধু’।
থামতে জানেন তো
থামতে জানাও এক শিল্পের মতো। গণপরিসরে যাঁরা আছেন, তাঁরা একথা ভেবে দেখতে পারেন।
মায়া প্রপঞ্চময়
তার সঙ্গে কিছুদিন আগে নাকি নীপার দেখা হয়েছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে শোনা যায়, নীপা নাকি তখন বুকের আঁচল ঠিক অথবা বেঠিক করতে করতে ছানাকে কীসব দরকারের কথা বলেছে। বিস্তারে জানাতে যায়, নিরালায়...
সরসতিয়া
আমি ওর কথা একবর্ণও বিশ্বাস করছি না বুঝতে পেরে এবার সত্যি সত্যিই হাউহাউ করে কেঁদে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বলল, “বিশোয়াস কোরেন হুজৌর, কাল রাতে কখুন...
মনস্তত্ত্বের চার চিত্র
সাম্প্রতিক দু’টি বলিউড ছবি, একটি হলিউড থ্রিলার ও একটি ওটিটি সিরিজের আলোচনা।
মনোরম ও নিটোল দু’টি প্রযোজনা
একটি নাটক আধুনিক মননে ক্লাসিসিজ়মকে ইনটারপ্রেট করে, অপরটি আড়ম্বরহীন, জীবনসত্যের অনুসন্ধান।
মৌলিক ভাবনার উদ্ভাসন
যে-সাহিত্য লেখকের বোধবুদ্ধিমতে গুরুত্বপূর্ণ, অথচ যার বিন্যাস-বিশ্লেষণ তুলনায় কম চোখে পড়ে, সেই সব সৃজনের কথা নিজেকে আর পাঠককে মনে করাতে চেয়েছেন।
সমাজচ্যুত করে রাখার অমানবিক প্রবণতা
এখানে আমরা বিচার করছি না ক্রিকেট জিতল কি জিতল না। ক্রিকেট যে দিনে দিনে মরছে, সে দিকে আমাদের নজর নেই। সে আলোচনায় পরে। আসছি।
আবোল তাবোল সময়ে সুকুমার অন্তর্ঘাত
সমকালের ইতিহাসকে যেমন সে হাজির করছে, তেমন এই গ্রন্থ তার প্রকাশের একশো বছর পরের পৃথিবীর অসঙ্গতি ও ননসেন্সগুলিকে নিয়ে সমান ভাবে থাকছে প্রাসঙ্গিক। বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, সুকুমার রায় এবং তাঁর আবোল তাবোল থেকে যাবে এক সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ হিসেবেই। প্রতিদিনই এই গ্রন্থের জন্মদিন হয়।
কোথায় পাব তারে
আবার ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে আসে পীযূষ। একাই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এত রাতে আর কাকে সঙ্গে পাবে। বস্তির পাশে বাইকটা রেখে খুঁজে খুঁজে ফুলিদের ঘরে চলে আসে। রাত দশটা, পাশের গলিতে উচ্চৈঃস্বরে হিন্দি গান বাজছে...
ভারতীয় বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ
নতুন যুগের ‘বড়দা’ ও ‘মেজদা’রা সামলাচ্ছেন বিজ্ঞান তথা মানবিকীবিদ্যার গবেষণার হাল। পরিণাম আঁচ করার অপেক্ষায় নেই।
অন্বীক্ষাপ্রসূত সার্থক গবেষণা
বিদ্যাসাগরকে নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনার ইতিহাস প্রস্তুত করেছে একটি বই। অন্যটিতে লেখকের দৃষ্টিতে প্রাধান্য পেয়েছে বিদ্যাসাগরের স্বাধীন শিল্প-বাণিজ্য বিকাশে উদ্যোগী হওয়ার দিকটি।