CATEGORIES
Kategoriler
ওলিম্পিকসই লক্ষ্য সা নি য়া রা।
সে রেনা উইলিয়ামস, মেরি কম ও সানিয়া মির্জা। তিন | ক্রীড়াবিদের মধ্যে মিল কোথায়? উত্তরটা হল, মা হওয়ার পর তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের জগতে স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে তিনজনেই বলেছেন, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়! মা হওয়ার পরও পেশাদার ক্রীড়া জীবন নতুন করে শুরু করা যায়।
আহার করুন বুঝেশুনে
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতিতে আমাদের জীবনশৈলীর | পরিবর্তনের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে খাদ্যাভ্যাসও। যে খাদ্য একসময় রােগ প্রতিরােধ করত সেই খাদ্য এখন অনেক রােগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ায় খাদ্যের বিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে ডায়রিয়া থেকে ক্যান্সার প্রায় দু’শােটিরও বেশি রােগে মানুষ ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে দূষিত খাবার থেকে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় চার লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ মারা যান।
ধর্মসঙ্কটে সিপিএম।
নাৎসি জার্মানির ইতিহাসটা মনে পড়ে? ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সেখানে কমিউনিস্ট আর সােশ্যাল ডেমােক্রাটরা নিজেদের মধ্যে খেয়ােখেয়ি করে গিয়েছে, হিটলারকে ঠেকানাের যথেষ্ট চেষ্টা করেনি। আর ক্ষমতায় এসে হিটলার বেছে বেছে কমিউনিস্টদেরই নিধন করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের বামেদেরও সেই রকম অবস্থা।
তু ল সী
তুলসীর ভেষজ গুণের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। ভারতীয় উপমহাদেশের অসংখ্য অধিবাসী তাঁদের বাড়িতে এই গাছটি রাখেন এবং একে দেবী হিসেবে পূজা করেন। ৫ হাজার বছর আগে ঋগ্বেদে তুলসীর ভেষজ গুণের বর্ণনা পাওয়া যায়। তুলসীতে ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল, ভােলাটাইল অয়েল, সাইটোস্টেরল, লিউটিওসিন, এপিজেনিন প্রভৃতি জৈব যৌগ আছে যেগুলি তুলসীর অতুলনীয় ভেষজ গুণের জন্য দায়ী।
গ্রাম বাংলার শিকড়মাটি
বিরােধের পিঠে মিলনের একটা তিরতিরে ইচ্ছে-নদী চিরকালই বহমান। এই ইচ্ছেটুকু বাংলার জলমাটির আত্মগরিমা। যা শত আঘাতেও ছিন্ন হয় না। তবে সময়ের আঘাতে সম্পর্কে আঁচড় কাটে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপােড়েন। যদিও তা ক্ষণস্থায়ী। ক্ষমতা যতই আমাদের বিরােধ শেখাক, বিতৃষ্ণা আর অবিশ্বাসের কুমন্ত্রণা দিক বার বার তা রুখে দেয় মানবিকতাই। সেই ভালােবাসার আখর নিয়েই এই কাহিনির পথচলা—
যােগফলস
যােগ বা যােগফলসে যাওয়ার যােগাযােগহঠাৎই যেন হাতে এসে গেল। কয়েক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম একটা কাজে। আগেও এখানে এসেছি। কিন্তু যােগে যাওয়া হয়ে উঠেনি। যদিও যাওয়ার একটা বাসনা বরাবরই ছিল। এবার হাতে ক’দিন বাড়তি সময় থাকায় তার সদ্ব্যবহার করতে আর দেরি করলাম না। বেঙ্গালুরু সিটি স্টেশন (নতুন নাম কে.এস.আর. বেঙ্গালুরু) থেকে তাই এক রাতে রওনা হলাম যােগফলস বা যােগপ্রপাতের উদ্দেশে। মহীশূর থেকে একইভাবে ট্রেনে যাওয়া যায়।
উ ডু ম্ব রা
মা শবক নামে এক মণিকারপুত্র তক্ষশিলায় গিয়ে সুবিখ্যাত আচার্যের কাছে শিক্ষা সমাপ্ত করেছিলেন। মিথিলাবাসী মাণবকের খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত পাঠ অধিগত হয়েছিল। তিনি সহপাঠীদের মধ্যে সর্বাধিক মনােযােগী ছাত্র ছিলেন। তাই দ্রুত পাঠ সমাপ্ত করে আচার্যের কাছে বিদায় প্রার্থনা করলেন। এদিকে সেই আচার্যের পারিবারিক রীতি ছিল যে গৃহে বয়ঃপ্রাপ্তা কোনও কুমারী কন্যা থাকলে চতুষ্পঠীর সবথেকে উৎকৃষ্ট পাত্রের হাতে তাকে সমর্পণ করতে হবে। এই আচার্যেরও অপরূপ সুন্দরী একটি কন্যা ছিল। তিনি মাণবককে বললেন, ‘বৎস, কুলধর্ম অনুযায়ী আমি তােমাকে আমার কন্যাদান করব। তুমি তাকে নিয়েই গৃহে ফিরবে। এদিকে এই মাণবক পাঠগ্রহণে মনােযােগী হলেও অতি হতভাগ্য ছিলেন। অপরদিকে আচার্যের কন্যা ছিলেন মহাপুণ্যবতী। সুতরাং গ্রহসন্নিবেশ বিপরীত হওয়ায় ফলে মাণবক কন্যাকে দেখে মােটেই পছন্দ করলেন না। কিন্তু তাঁর অপছন্দের কথা ব্যক্ত হলে পাছে আচার্য অসন্তুষ্ট হন, এই মনে করে বিবাহে সম্মতি জানালেন। আচার্য নিজ কন্যার সঙ্গে মাণবকের বিবাহ দিলেন। বিয়ের রাত্রে মণবক অলঙ্কৃত শয্যায় শয়ন করেছিলেন, কিন্তু যেই পত্নী সেই শয্যায় এসে বসলেন সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে গিয়ে শয়ন করলেন। আচার্য কন্যাও তা দেখে মাটিতে এসে শয়ন করলেন। তাঁকে মাটিতে শয়ন করতে দেখে মাণবক আবার খাটে উঠে শুয়ে পড়লেন। আচার্য কন্যাও স্বামীকে অনুসরণ করে আবার খাটের উপর শয্যা গ্রহণ করলেন। মাণবক আবার খাট থেকে মাটিতে নেমে এলেন। এরকম হওয়ারই কথা ছিল কারণ, অলক্ষ্মী কখনও লক্ষ্মীকে সহ্য করতে পারে না। তাই আচার্য কন্যা আর মাটিতে না নেমে পালঙ্কেই শয়ন করলেন। এভাবে আচার্যগৃহে মাণবকের এক সপ্তাহ কাটল। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে গৃহের উদ্দেশে যাত্রা করলেন।
ছােট ভটচায্যির কর্মপ্রাপ্তি
জানবাজারের রানি রাসমণি তীর্থ করতে কাশীধাম। যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। জানবাজার কোনও সাম্রাজ্যের নাম নয়, কলকাতার একটি এলাকা। রাসমণিও কোনও রাজমহিষী নন, ‘রানি’ তাঁর শৈশবের ডাকনাম। গুরুজনদের দেওয়া আদুরে নামটির পাশে তাঁর পােশাকি নাম বসিয়ে এই তেজস্বিনীর পরিচয় তৈরি হয়েছিল ‘রানি রাসমণি'। সাধারণ মানুষ বলত ‘রানিমা। স্বামী রাজচন্দ্র দাসের মৃত্যুর পর চুয়াল্লিশ বছর বয়সে রাসমণি যে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হয়েছিলেন তাতে এমন অভিধা অবশ্য তাঁর পক্ষে বেমানান ছিল না। তার ওপর, দরিদ্রের প্রতি অকুণ্ঠ সাহায্যে, ব্রিটিশ শাসকের অন্যায়ের দৃপ্ত প্রতিবাদে, লক্ষ্য পূরণের নাছােড় জেদে তিনি সত্যিই যেন সাম্রাজ্ঞী।
শতবর্ষ পেরিয়ে ব্যান্ড এইড
Behind every successful man there is a woman | O লুকিয়ে থাকে এক নারীর অবদান। এ তাে গেল। কথায় বলে, প্রত্যেক সফল পুরুষের সাফল্যে প্রবাদ। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন স্বামীর সাফল্যের কারণ স্ত্রীর ক্ষত? হ্যাঁ ঠিক এমনটাই ঘটেছিল আর্ল ডিকসনের সঙ্গে। আমাদের অতি পরিচিত একটি জিনিস আবিষ্কারের নেপথ্যে ছিল তাঁর স্ত্রীর হাতের ক্ষত। ব্যান্ড এইড’-এর জন্ম হয়েছিল আর্ল ডিকসনের স্ত্রীর ক্ষত নিরাময়ের জন্য।
আবা
হা -মিদকে তার আহ্বা শ্যামচাঁদের মেলা দেখাতে নিয়ে এসেছে। অথচ তার আহ্বা তাকে নিয়ে বসে আছে। সাগরদিঘি বাজারে একটা চায়ের দোকানে। তার হাতে একটা কেক ধরিয়ে দিয়ে নিজে চা খাচ্ছে। সিগারেট টানছে। আর দোকানদারের সঙ্গে খােশমেজাজে গল্প করছে। হামিদের সেটা ভালাে লাগছে না। তাছাড়া মেলা তাে সাগরদিঘি বাজারে বসেনি, বসেছে তার পাশে পােড়ার সদ্য ধানকাটা মাঠে। ওই তাে সেখান থেকে মাইকের আওয়াজ ভেসে আসছে। কত রকমের আওয়াজ। সার্কাসের তাঁবুর আওয়াজ। পুতুলনাচের আসরের আওয়াজ। তাছাড়াও জাদুখেলা, মরণকুয়াে, নাগরদোলা, গঙ্গা যমুনার আওয়াজ তাে আছেই।
সূর্যোদয়ের নাম নাওমি ওসাকা
এ শিয়ান টেনিসে সূর্যোদয়। নাওমি ওসাকার হাত ধরে। সদ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন জাপানের এই প্লেয়ার এখন প্রায়ই সংবাদ শিরােনামে থাকছেন। তাঁর প্রতিবাদী চরিত্র এবং কোর্টের বাইরে শিশুসুলভ মানসিকতা নিয়ে অনেকেই চর্চা করছেন। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মেতে ওসাকার পাওয়ার টেনিস নিয়েই।
৪৫ বছর পর ফের প্রযােজনায় অরােরা
এ যেন মৃত্যুর ভয়ে বাচার রাস্তাটাকেই রুদ্ধ করে দেওয়া। এ ধরণী এর আগেও অতিমারীতে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর মিছিল দেখেছে পূর্বপুরুষরা। সমস্ত সামাজিকতা, মানবিকতা, মূল্যবােধকে নস্যাৎ করে দিয়ে মানব সভ্যতা মনে হয় এভাবে কখনও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেনি, যা আমাদের দেখাল করােনা-কাল। আপনজন হয়েছেন
হীরালাল সেনকে নিয়ে বায়ােপিক
রতীয় সিনেমার জনক হিসেবে স্বীকৃত দাদাসাহেব ফালকে। তাঁর ছায়ায় ঢেকে গিয়েছেন হীরালাল সেনের মতাে ব্যক্তিত্ব। হীরালাল সেন ছবি করেছিলেন ১৯০১ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত। ১৯০৩ সালে। হীরালাল তৈরি করেছিলেন ‘আলিবাবা’। আর দাদাসাহেব ফালকের প্রথম ছবি ১৯১৩ সালে। ‘রাজা হরিশচন্দ্র। অথচ চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ছাড়া কজনই বা চেনেন হীরালাল সেনকে! চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বলতম অধ্যায় হয়েও অবহেলার শিকার হীরালাল সেন। তবে কি ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্রষ্টা। হিসেবে তাঁর নামটাই সর্বাগ্রে আসা উচিত? এই বিতর্ক উস্কে দিয়েই হীরালাল সেনের বায়ােপিক ‘হীরালাল’ তৈরি করেছেন। পরিচালক অরুণ রায়। মােহন বাগানের প্রথম শিল্ড জয় নিয়ে ছবি ‘এগারাে’ এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘চোলাই’ ছবিটি তৈরির পর অরুণের এটি তৃতীয় ছবি। নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন কিঞ্জল নন্দ। ছবিটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালে। প্রায় তিন বছর পর মুক্তি পেল এই সপ্তাহে।
শতবর্ষে সন্তোষকুমার ঘােষ ‘চূর্ণিল মর্তসীমা'
বাংলার বুকে একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণবাদ্য, আরেক দিকে গােয়ালন্দ স্টিমারের ভোঁ লাগা শব্দে চাপা পড়ে যাচ্ছিল তুলসীতলা, উঠোন, গােয়ালঘর, বনকলমির মাচা এইসব ফেলে আসা জীবনের দীর্ঘশ্বাস। সংবাদপত্রের পাতা থেকে বাংলার সাহিত্যাকাশেও একইসঙ্গে ফুটে উঠছিল অসংখ্য তারা। সন্তোষকুমার ঘােষ সেই সময়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সংবাদপত্রের ভাষাকে যিনি সাধারণ মানুষের মুখ ও মনের ভাষায় বদলে দিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি যখন প্রথম যুগান্তর পত্রিকায় সাংবাদিকতার চাকরি নেন, সময়টা ছিল এক ঘাের অনিশ্চয়তার। বিশ্বযুদ্ধের কারণে একের পর এক সঙ্কট ও আর্থসামাজিক বিপন্নতায় সাধারণ মানুষ ছিল বিপর্যস্ত। সংবাদপত্রের চাকরিও ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
শতবর্ষে বিশ্বভারতী
সে এক আদ্যিকালের কথা। কথার মালা গাঁথার সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অন্তরে তাগিদ এল এক অভিনব বিদ্যালয় স্থাপনের। বােলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয় নামক অঙ্কুর একদা কালের যাত্রায় হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। ১৯০১ থেকে ১৯২১ সাল এক অভিনব যাত্রা। একদিকে নিজেকে প্রকাশের অন্যদিকে তপােবনের আদর্শকে রূপ দেবার বাসনা যুক্ত হয়েছিল কবির। এক চিঠিতে লিখছেন—
সােনালি অক্ষর
দে ‘শের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। টেস্ট সিরিজে ক্রমশই অপরিহার্য। হয়ে উঠছেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। চেন্নাইয়ের পর আমেদাবাদেও ‘প্যাটেল ক্যারিশমা’ অব্যাহত। পিঙ্ক বল টেস্টে অক্ষরের স্পিন ভেল্কিতেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ইংরেজরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই তুলে নেন প্রতিপক্ষের অর্ধেকের বেশি উইকেট। প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ছয়টি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। সবমিলিয়ে দিন রাতের টেস্টে ৭০ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন অ্যাক্সি। গােলাপি বলের টেস্ট ম্যাচে যা এখনও পর্যন্ত সর্বকালের সেরা বােলিং পারফরম্যান্স। টেস্ট কেরিয়ারের গােড়াতেই যে ঝলক তিনি দেখলেন, তা সত্যিই চমকপ্রদ।
মেদ ঝরান আয়ুর্বেদে
চরক সংহিতা সূত্রস্থানের ২১তম অধ্যায় হল ‘অষ্টনিন্দিতীয় অধ্যায়। এই অধ্যায়ে মানবদেহের আট ধরনের বৈশিষ্ট্য অথবা বৈচিত্র্যের উল্লেখ আছে যা মােটেই কাম্য নয়। এই আট ধরনের বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হল অতিস্থূলতা, যাকে আমরা ওবেসিটি বলে থাকি।
মৃত্যুর ডাক
জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার ব্যাখ্যা বা কারণ বুঝে | উঠতে পারি না। অথচ আমাদের যুক্তিবাদী মনও একে অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক ঘটনা বলে মানতে অপারগ হয়। আমি বেহালাবাসী। দশ বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামী, সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে সুখের সংসার। কয়েক বছর আগে সম্ভবত জুন অথবা জুলাই মাসের দুপুরবেলা। খবর পেলাম আমার এক বন্ধু, সুদীপের অপমৃত্যু ঘটেছে। বন্ধুটির সঙ্গে কলেজে, কোচিংয়ে পড়েছি। আমার বিয়েতে ও-ই সবকিছু সাজিয়েছিল। ছুটে গিয়েছিলাম কাঁটাপুকুরে। সেখানে যাওয়ার কথা বাড়িতে বলিনি। বলেছিলাম ওদের বাড়িতে যাচ্ছি।
বম্বে বেগমস,
গগনচুম্বী বিল্ডিং। সুসজ্জিত ঝাঁ চকচকে ঘর। দামি আসবাবে বনেদিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। পুরু কাচের জানলা দিয়ে বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। রয়্যাল ব্যাঙ্কের সিইও ম্যাডাম রানি (পূজা ভাট)। হাতে দামি চায়ের পেয়ালা। চোখে আত্মমর্যাদার ঝলকানি। সামনের টেবিলে ততক্ষণে খেতে ব্যস্ত। আয়েশা (প্লবিতা বড়ঠাকুর)। সেও স্বপ্ন দেখে ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হওয়ার। কোন পথে কীভাবে তা সম্ভব, এই সব বিষয় নিয়ে আলােচনা চলছে। সেই সময়ে আচমকাই রানিম্যাম বলে ওঠেন, বম্বে শহর সবাইকে বদলে দেয়। তখন তার গলার স্বর কঠিন। আসন্ন ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে তাতে। কিন্তু বয়স, কাজের অভিজ্ঞতায় নবীন আয়েশা তা ধরতে পারে না। বলে, টিকে থাকার জন্য সবাইকেই তাে বদলাতে হয়। কিন্তু ততক্ষণে চোয়াল শক্ত হয়ে উঠেছে রানির। সােজা আয়েশার চোখে চোখ রেখে দৃপ্ত কণ্ঠে বলে ওঠে, মাই ডিয়ার, প্রত্যেক মহিলাকেই সমাজে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়।
বান্দোয়ানের জার্নাল
সেবারে বন্দোয়ান অঞ্চলে প্রাকৃতিক দৌলতের (খানা-তল্লাশি করতে গিয়ে। এক পাহাড়ের পকেটে হাতিরাম মুর্মুকে আবিষ্কার করেছিলাম। পরিচয়সূত্রে জানা গেল, এই সারবদ্ধ পাহাড়ের পেটে পিঠে ভেষজ লতাগুল্মের অফুরান ডিপােজিটের নির্ভরযােগ্য জ্ঞানকোষ এই মানুষটা। কোন রােগের নিরাময়ে কোন গাছের লতা -বাকল -গুল্ম – মুকুল কীভাবে সেবন করলে মুমূর্য রােগীর আরােগ্য হয়, পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি তা নির্ণয় করে দেন। তাই এদিকের দু’পাঁচটা মৌজা জুড়ে হাতিরাম বদ্যির প্রখ্যাতি ও পসার।
প্রান্তিক জনজাতি শবর
বর’ একটা জনজাতি গােষ্ঠীর নাম। ১৯৬৮ সালের আগে তাদের অবস্থান ছিল প্রায় প্রস্তরযুগের কাছাকাছি। অন্ন, বস্ত্র, ছাদ, এমনকী খাদ্যাভ্যাসও ভারতীয় ভূখণ্ডের মূল স্রোতের মতাে ছিল না। পরাধীন ভারতে তদানীন্তন দক্ষ প্রশাসক জাঁদরেল টি.ভি. স্টিভেনরের নেতৃত্বে ‘দ্যা ক্রিমিনাল ট্রাইবস অ্যাক্ট’ চালু হয়। ১৮৭১ সালে সেই সময় ভারতের নির্দিষ্ট কিছু প্রদেশের আদিবাসী গােষ্ঠীর ওপর এই আইন লাগু হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে তারা ইচ্ছা করলেই যে কোনও সম্প্রদায় বা
ছােটদের মনে করােনার জের
ক রােনা ভাইরাসের জেরে বছরখানেক ধরে প্রায় ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছি আমাদের অনেকেই। বন্ধুবান্ধব। আত্মীয়স্বজন থেকে দূরে থাকার দরুন আমরা ভালাে নেই। মনােবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মেলামেশার অভাব এবং সেইসঙ্গে রােগের আতঙ্ক আমাদের মনে সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলবে। এযাবৎ পৃথিবীতে মানুষের ওপর এত বড় মনস্তাত্ত্বিক এক্সপেরিমেন্ট যে হয়নি, সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
ইন্ডিয়া সার্কাসের বাঘ!
লরিতে সার্কাসের তাঁবু, লােকজন মাঠে এসে নামতেই দলবেঁধে একছুটে মাঠে। সেবার শীতে ‘ইন্ডিয়া সার্কাস’এর তাঁবু পড়েছে মাঠে, হইচই পাড়ায়। নাড়কাকু বললেন, ‘আসল না, এটা নকল ইন্ডিয়া!’ “ঠিক বলেছ, হাতি নেই, বাঘ নেই, শুধু দুটো বুড়াে ঘােড়া নিয়ে সার্কাস জমে? বললেন কানুজ্যাঠা। কইলেই হইব বাঘ নাই! সার্কেসের গেটে রয়েল বেঙ্গলের মুণ্ডুর ছবি দেখছি’, খেপে গেছেন কেশব কুণ্ডু। কাগজে তালমিছরির বিজ্ঞাপনের ছবি দেখে মিছরির স্বাদ পান জিভে? কায়দা জানলে মানুষও বাঘ হয়ে যায়, আসল নকল চেনা দায়!’ ‘নকল বাঘ? খাইছে!' তাঁবুতে বাঘ থাকলে বাঘের গর্জন কোথায়? বাঘ কি আফিম খেয়ে ঝিমােচ্ছে? হাসছেন লালদাদু। ‘ছাড়ুন তাে বাঘ! ট্রাপিজির খেলা আছে, পাশাপাশি দুরন্ত সব ম্যাজিক আছে, বললেন হরিকাকু।
বাজনা আর বাস্তবের ফারাক
এ কসময় স্বয়ং ‘হ্যামলিন ছিলেন সেখানকার ভূমিপুত্র। | হ্যামলিনের বাঁশির সুর শােনা যেত আসমুদ্র হিমাচল। বলা হতাে, গুজরাতের বিকাশের মডেল ভারতের কাছে নাকি শিক্ষাস্বরূপ। এক একটা “ভাইব্রান্ট গুজরাত’-এ এমন অঙ্কের মউ সই হতাে, যাতে শূন্যের পরিমাণ খালি চোখে হিসেব করা দুষ্কর। উন্নয়নের সেই ‘ভাইব্রেশন’ টের পেত গােটা দেশ। আর আজ?
আমি গােবিন্দাজির নাচ খুব পছন্দ করি: মাধুরী দীক্ষিত
আবার নৃত্য সৌরভে মাতাতে এসেছেন বলিউডের ‘ধকধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। কালারস চ্যানেলের জনপ্রিয় ডান্স রিয়েলিটি শাে ‘ডান্স দিওয়ানে সিজন। তিন’-এর বিচারকের আসনে আবার স্বমহিমায় তিনি। এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত জানালেন নাচ ও তাঁর জীবনের কিছু কথা।
বায়ুমণ্ডলের শেষপ্রান্তে যাত্রী নিয়ে ভেসে বেড়াবে বেলুন
বি দেশে বেড়াতে গিয়ে হটএয়ার বেলুনে করে ওড়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে। বেলুনের সঙ্গে লাগানাে ঝুড়ির মতাে অংশে যাত্রীদের নিয়ে অনেকটা উপরেই উড়ে বেড়ানাের ব্যবস্থা রাখা হয়। বিদেশে বেলুনে করে ওড়ার ব্যাপারটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। তবে এবার বেলুনের সাহায্যে মহাকাশের কাছাকাছি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের শেষ প্রান্তে যাত্রীদের ঘুরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকার ফ্লোরিডার একটি কোম্পানি। স্পেস পারসপেকটিভ নামে ওই সংস্থাটি তাদের
ইস্টিশনের ধারে
আ মি স্টেশনে স্টেশনে আমার ভাইকে খুঁজতাম। আমার ভাই হারিয়ে গিয়েছে। নাহ, ওরকম হারিয়ে যাওয়া নয়, সত্যিকারের হারিয়ে যাওয়া। প্রায় দশ বছর আগে আমার ভাই সুইসাইড করেছে। নিজেকে নিজে মেরে ফেলা এত সহজ? এখনও যখন তখন আমি আমার নিজের গলায় হাত দিয়ে দেখি কতটা চাপ পড়লে কতটা লাগে। ভাইয়ের তখন উনিশ বছর বয়স, আমার বাইশ। মাত্র তিন বছরের বড় দিদি আমি, কিন্তু আমাদের মধ্যে স্নেহ আর শাসনের বহর দেখে মনে হতাে আমি ওর থেকে অনেক বড়। যখন খবর পেয়েছিলাম, আমি তখন ছিলাম হােস্টেলে। যাদবপুরে। ক্লাস চলছিল। আমাকে খবর দেওয়া হল। আমি ফিরে এসে হােস্টেলে ফোন ধরে যখন জানলাম তখন অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ইউনিভার্সিটির হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি বাড়ি যেতে পারিনি। দুদিন পরে গিয়েছিলাম, সঙ্গে আমার দুই বন্ধু গিয়েছিল।
অনুভবের পরিচালনায় এবার জঙ্গলে আয়ুস্মান
প রিচালক অনুভব সিনহার সঙ্গে আরও একবার কাজ করতে চলেছেন আয়ুস্মান খুরানা। নতুন ছবির নাম ‘অনীক। এর আগে অনুভবের পরিচালনায় ‘আর্টিকেল ১৫ ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। ‘আর্টিকেল ১৫'-এ আয়ুষ্মনকে এক পুলিস আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। তাঁর অভিনয় এবং ছবির গল্প চলচ্চিত্র
বাড়তি মেদ কমান ব্যায়ামে
আ মাদের এখন সকলের একমাত্র চিন্তা কী করে শরীরের বাড়তি মেদ কমানাে যায়। এই মেদের জন্য সাধারণ জীবনযাত্রায় অনেক অসুবিধা হয়। একটুতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কাজ করায়, পড়াশােনায় অমনােযােগ প্রভৃতি আরও আরও অনেক সমস্যা শুরু হয়। তার জন্য দরকার জিম-এ যাওয়া এবং ব্যায়াম ও আসন করা। আর এখন করােনা অতিমারীর কারণে শরীরে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ানাে একান্ত প্রয়ােজন। আর এই ক্ষমতা বাড়াবার জন্য জিমে গিয়ে ব্যায়াম, যােগাসন করার কথা শুধু আমি নই বিশ্বের সকল বড় বড় ডাক্তারই বলছেন।
ফাঁকা পৃষ্ঠার সংবাদপত্র!
ফাঁকা পৃষ্ঠার সংবাদপত্র! সকালবেলা খবরের কাগজ |হাতে নিয়েই চমকে উঠেছিল কানাডা। ৪ ফেব্রুয়ারির খবরের কাগজের প্রথম পাতার পুরােটাই ফাঁকা! প্রশ্ন উঠেছিল, টরন্টো স্টার-এর মতাে খবরের কাগজ এভাবে গােটা পাতা কাকে ছেড়ে দিল? এ কি কোনও বিজ্ঞাপনী কৌশল? প্রথম ধাক্কায় এই ভাবনাই মাথায় আসা স্বাভাবিক। পৃষ্ঠা উল্টে তৃতীয় পাতায় যেতেই নীচের খবরে চোখ পড়ে। সেখানে লেখা: ‘নােট টু রিডার্স: আওয়ার ব্ল্যাঙ্ক ফ্রন্ট পেজ। (পাঠকের প্রতি নােট: আমাদের সামনের ফাঁকা পাতা।) কী সেই নােট?