CATEGORIES
Kategoriler
বাংলার গাজন
বাংলার লােকসংস্কৃতির এক প্রাচীন ও জনপ্রিয় উৎসব গাজন। নীল ও চড়ক পুজো গাজন উৎসবের অঙ্গ। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী চৈত্র মাসে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। গাজন তাই বাংলার বসন্তকালীন বাং উৎসব।
নয়নতারা
বাবার সঙ্গে ফ্যামিলি ফটো নয়, বরং তার মনে একটু স্থান করে নিতে চায় তারা। মা মরা মেয়ে সে। তারার জন্মের পরই মৃত্যু হয় মায়ের। সদ্যোজাত মেয়ের মুখও দর্শন করতে চায় না বাবা। বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে প্লট করে শুরু হয়েছে সান বাংলার নতুন সিরিয়াল নয়নতারা।
পুণ্যভূমি বারাণসী
পাহাড়, নদী ও সাগরের সঙ্গে পরিচয় অনেক | দিনের। মাঝেমধ্যে দেখা-সাক্ষাৎও হয়। কিন্তু ইতিহাস বিজড়িত শহরের সঙ্গে পরিচয়টা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। সেই পরিচয়পর্বটা সারতে লাগেজ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়া বেনারসের উদ্দেশে। বিভূতি এক্সপ্রেসে এক রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে নামলাম বারাণসী স্টেশনে।
দিশাহীন গতিপথে ডুবল তরী
গ্রীস্মকালের পড়ন্ত বিকেল। সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়েছে। উঁচু টিলার ধারে বসে খােশগল্প করছে চার বন্ধু। উদ্দেশ্য ছুটি কাটানাে। নির্জন প্রান্তরে বসে প্রকৃতির শােভা উপভােগ করা। কবিরা বলেন, নিস্তব্ধতারও নাকি একরকম ভাষা রয়েছে। মনের সবটুকু দিয়ে তা অনুভব করতে হয়। তারাও হয়তাে এইরকমই কিছু একটা মনে করে এসেছিল। কিন্তু এদিকে আবার দিনের আলাে ধীরে ধীরে কমে আসছে। বাড়ির পথ ধরে তারা। হঠাৎ কোথাও বেজে ওঠে মােবাইলের রিং। একবার, দুবার, ক্রমে লাগাতার। খুঁজতে খুঁজতে দূরে থাকা একটি ঝােপের কাছে হাজির হয় তারা। ততক্ষণে পচা গন্ধে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। ঝােপ পার হতেই এক যুবতীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারই পকেটে বেজে চলেছে ফোন। কোনও রকমে মৃতদেহের পকেট হাতড়ে ফোন বের করে রিসিভ করে তারা। পরিজনদের জানায় খুন হয়েছে ফোনের মালিক। এরপরই এসে পৌঁছয় পুলিস। জানা যায় মৃতার নাম পূজা চৌধুরী (বরখা সিং)। তার বাবা জাস্টিস চৌধুরী (শিশির শর্মা) সদ্য অবসর নিয়েছেন।
তুলসী গাছে দ্যাবতা থাকে
গ্রাম-ঘরে হিন্দু মুসলিম হল এক হাঁড়িতে ফোটা খিদের ভাত। তারা মিল-মহব্বত বজায় রেখেই চলে।
জবাব দিয়ে তৃপ্ত | বিদ্যাসাগর
মণিপুরের বাসিন্দা। কিন্তু নামের মধ্যে বীরসিংহের ছোঁয়া। পুরাে নাম খানগেমবাম। বিদ্যাসাগর সিং। এবার আই লিগে ১২ গােল করে সর্বাধিক গােলদাতার সম্মান পেয়েছেন। ট্রাউয়ের এই স্ট্রাইকার। ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছেন দু’বছর। তবে সেই পর্বে তাঁর মেধার সঠিক বিচার হয়নি। একই ভুল করেনি ট্রাউ এফসি ম্যানেজমেন্ট। এই ক্লাবে খেলেই ঝকঝকে পারফরম্যান্স ২৩ বছর বয়সি বিদ্যাসাগর সিংয়ের।
কোহলিদের টার্গেট স্থির
৩ -১, ৩-২, ২-১। ফুটবল ম্যাচের স্কোর নয়। ঘরের মাটিতে টেস্ট, টি-২০ এবং ওয়ান ডে-তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারতের সিরিজ জয়ের খতিয়ান। করােনাকালে এটাই ছিল দেশের মাটিতে বিরাট কোহলিদের প্রথম আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার শুরুটা ভালাে হয়নি। প্রথম ম্যাচ হেরে প্রবল সমালােচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কোহলি ব্রিগেডকে। কিন্তু সেটাই যেন শাপে বর হয়েছিল। বাকি তিনটি ম্যাচে ইংল্যান্ড কার্যত কোনও প্রতিরােধ গড়ে তুলতে পারেনি। ভারতের সামনে।
ইন্টার্নে অমিতাভ
গত বছর জানুয়ারি মাসে আজুরে এন্টারটেইনমেন্ট এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স—এই দুই প্রযােজনা সংস্থা দীপিকা পাড়ুকোন এবং ঋষি কাপুরকে নিয়ে হলিউড ছবি ‘দ্য ইন্টার্ন’-এর হিন্দি রিমেকের কথা ঘােষণা করেছিলেন। মূল ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অ্যানি হ্যাথওয়ে এবং রবার্ট ডি নিরাে। কিন্তু গত বছর ৩০ এপ্রিল ঋষি কাপুর প্রয়াত হন। তখন থেকেই অনিশ্চিত হয়ে যায় ‘দ্য ইন্টার্ন’-এর হিন্দি রিমেকের ভবিষ্যৎ। ঋষি কাপুরের জায়গায় কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়।
এক চিকিৎসকের মৃত্যু
১৮৬৫ সালের ৩০ জুলাই। অস্ট্রিয়ার ল্যাজারেটগ্যাজ অ্যাসাইলামে ভর্তি করা হল এক রােগীকে। ততদিনে গভীর হতাশায় ডুবে গিয়েছেন তিনি। সমস্ত পৃথিবী তখন তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী স্ত্রীও মারিয়া উইডেনফোরও। তিনি নাকি ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। তাই তাঁর জন্য বরাদ্দ হল শাস্তি। চিকিৎসার নামে আ্যাসাইলামের রক্ষীরা বেধড়ক মারধর করলেন সেই রােগীকে। ১ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট রােজ চলল সেই একই শাস্তি। অ্যাসাইলামের এক কোণে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইলেন। মানুষটি। ৮ আগষ্ট ডান হাতের একটা অংশ ফুলে উঠল সঙ্গে প্রবল জ্বর। অসহ্য কষ্ট, ব্যথা। কারণ, ইনফেকশন। শুরু হল পচন। ১৩ আগস্ট মৃত্যু হল সেই পাগল ডাক্তারের।
আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়
এক যে ছিল পরিপাটি আহ্লাদী এক মেয়ে। হঠাৎ করে ফিফথ গিয়ারে ছুটল সেই মেয়ে। ট্যাক্সি চালানাে তার পেশা। সেই ডানপিটে কন্যে নিজেই বলে, মেয়েরা মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে, আর ট্যাক্সি চালাতে পারবে না! কিন্তু এমনটা তাে হওয়ার কথা নয়। কারণ, এই গল্পের নায়িকা তাে উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ মেগার নায়িকা ঊর্মি নাচ, গান, ফোটোগ্রাফি সবই শিখেছে, কিন্তু অল্প বিস্তর। অন্যকিছু না জানলেও সে ট্যাক্সি চালাতে ওস্তাদ। সমাজের উঁচুতলা থেকে কেন ঊর্মির এই পথে নামার তাগিদ।
কে বলেছে বলিউডে নেপােটিজম নেই: প্রাচী দেশাই
টানা বিরতির পর প্রায় চার বছর বাদে অভিনয়ে | ফিরলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রাচী দেশাই। কেরিয়ারের শুরুতে টেলি অভিনেত্রী হিসাবে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি জি ফাইভ-এ মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘সাইলেন্স’ ছবিটি। অবন ভারুচা দেওহংস পরিচালিত এই ছবিতে তিনি এক দাপুটে পুলিস অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। টেলিফোন সাক্ষাৎকারে প্রাচী এই ছবি সহ তাঁর জীবনের নানা কথা জানালেন।
ওলিম্পিকসে ভালাে | ফল করতে চান সুতীর্থা
টোকিও ওলিম্পিকসে বাঙালি | প্রতিনিধি। টেবিল টেনিস তারকা সুতীর্থ মুখার্জি গেমসে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁর প্রতি পদক জয়ের প্রত্যাশা বেড়েছে। একটা সময় ওলিম্পিক টিমে একাধিক বাঙালি ক্রীড়াবিদ থাকতেন। এখন তা ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো পাওয়ার শামিল।
ইচ্ছা ছিল সেনাবাহিনীতে যােগ দেওয়ার: মাহি গিল
অভিনেত্রী মাহি গিল। বলিউডে নিজের এক স্বতন্ত্র পরিচয় ইতিমধ্যেই গড়ে তুলেছেন। একের পর এক ভিন্ন ধারার ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন। আগেই হটস্টার ডিজনি-তে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘১৯৬২: দ্য ওয়ার ইন দ্য হিলস'। এই সিরিজে তিনি। একজন সৈনিকের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাহি জানালেন তাঁর জীবনের নানা কথা।
অপূর্ণ ইচ্ছে
আজ এই চৌষট্টি বছর বয়সে পৌঁছে পিছন ফিরে তাকালে মনে হয়, আমার জীবনে একটা এমন ঘটনা ঘটেছে, যার কোনও ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। তখন আমাদের তিনতলার ছাদের ঘরে সদ্য মাতৃমূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। একেবারে নিজস্ব মন্দির, আমার নিভৃত উপাসনাস্থল। মনে হতাে সবসময় স্তবস্তুতি, চণ্ডীপাঠ, গীতাপাঠ করি। করতামও তাই। সংসারের সব কাজ সেরে যখন কালীমায়ের সামনে বসতাম, নিজের মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করতাম।
রাজা-প্রজার সম্পর্ক?
কারও প্রতি নেতিবাচক জনমতকে একটি ইতিবাচক বিকল্পের অনুকূলে বওয়াতে না পারলে যে লাভ নেই, এই সহজ কথাটা আর কেউ বুঝুক না বুঝুক বিজেপি নেতারা বােঝেন বিলক্ষণ।
রাজা প্রসেনজিৎ ও স্থবির আনন্দ
তথাগত বুদ্ধ ও তাঁর সঙ্রে প্রতি অনুগত ছিলেন কোশলরাজ প্রসেনজিৎ। তিনি নিজে বুদ্ধের কাছে ধর্মব্যাখ্যা শােনার জন্য নিয়মিত যাতায়াত করতেন।
মুখােশ
মুখােশটা এতটাই সুন্দর ছিল যে, বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে গা শিরশির করে উঠত। কয়েক বছর আগে সিমলা বড়াতে গিয়ে ম্যাল থেকে কিনেছিলাম। অবশ্য বলা ভালো আমার মেয়ের আবদারে কিনতে বাধ্য হয়েছিলাম। মনে আছে, সেদিন খুব বৃষ্টি পড়ছিল, পাহাড়ি জায়গায় বৃষ্টি নিয়মহীন। ম্যালের বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ছিল। আত্মীয়-স্বজনের জন্য সিমলার স্মৃতি হিসাবে কিছু উপহার কেনার জন্যই ম্যালে ঘােরাঘুরি করছিলাম, তখনই এই দোকানটা আমাদের নজরে আসে। ম্যালের প্রায় শেষের দিকে দোকানটা, প্রচুর উপহার সামগ্রীতে ভরা। একদম কোণের দিকে টাঙানাে ছিল মুখােশটা, ভয়ঙ্কর সুন্দর, বেশিক্ষণ তাকানাে যায় না। মেয়ে ওই মুখােশটা কেনার জন্য নাছােড়বান্দা। শেষমেশ কিনেই ফেললাম মুখােশটা।
থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি আস্ত বাড়ি
আমরা কম্পিউটারে কোনও লেখা বা ছবি ছাপার জন্য | প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকি। মাত্র এক ক্লিকেই অল্প সময়ের মধ্যে লেখা বা ছবি প্রিন্টার থেকে বেরিয়ে আসে। এখন এসে গিয়েছে থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার। স্বাভাবিক প্রিন্টারের মতাে এখনও সেটির বহুল ব্যবহার শুরু হয়নি। ঠিকই, কিন্তু এর দ্রুত উন্নতি ঘটছে। ইতিমধ্যে থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে পরীক্ষামূলকভাবে হৃৎপিণ্ড তৈরি করাও সম্ভব হয়েছে। আগামিদিনে হয়তাে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এই বিশেষ ধরনের প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করা সম্ভব হবে। তবে এবার একটা আস্ত বাড়ি থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নিউইয়র্কের একটি সংস্থা।
মৃত্যুর মতাে সুন্দর
সরু পায়ে চলা পথটা দিয়ে যেতে যেতে সহদেব টের পেল আবার বমির বেগটা আসছে। তলপেটের ব্যথাটা আবার। মােচড় দিচ্ছে। প্রতিটি পদক্ষেপেই মনে হচ্ছিল তলপেটে একটা ধাক্কা লাগছে। কিছু একটা উঠে আসতে চাইছে তলপেট থেকে গলা বেয়ে। সহদেব জানে কী বেরিয়ে আসবে। আশ্চর্য! যখন খেয়েছিল, তখন সেই খাবারের কী মিষ্টি স্বাদ ছিল। আর যখন সেটাই বমি হয়ে গলা বেয়ে উঠে আসছে, তখন কী অসম্ভব তেতাে তার স্বাদ। যেন একটু আগে খাওয়া পায়েসের সঙ্গে সমস্ত জীবনে পাওয়া সব অপমান, হাজার বছরের অভিমান, যত দুঃখসব বেরিয়ে আসছে হড়হড় করে।
নিরামিষ প্রােটিন সয়াবিন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র উৎকৃষ্ট মানের উদ্ভিজ্জ প্রােটিন খাবার হিসেবে সয়াবিন অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিরামিষাশীদের আহারে মাছমাংসের উত্তম বিকল্প হতে পারে সয়াবিনের তৈরি নানারকমের খাবার। শুধু নিরামিষাশী কেন, আমিষাশীরাও রকমারি রেসিপিতে সুস্বাদু এই শুটি জাতীয় সজিকে আস্বাদ করে আহ্লাদিত হয়ে থাকেন।
তাে ত লা মি সহজেই সারে
ট ভির পর্দায় চলছে হিন্দি সিরিয়াল। একটি চরিত্রের তােতলামি দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ছে পরিবারের সবাই, মায় পাচ বছরের শিশুটি পর্যন্ত। তােতলা চরিত্রের তােতলামির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুটিও বলতে শুরু করল, মা মা মা মা মারুঙ্গা। সেই শুনে দাদু-ঠাকুমার সেকী আনন্দ, সঙ্গে তাদের মা -বাবারও!
জোয়াকিম লাে সরে দাঁড়ালেন
দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক ভাঙা মুখের | কথা নয়। তবে সিদ্ধান্তটা কঠিন হলেও বৃহত্তর স্বার্থেই জার্মানির কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানাের সিদ্ধান্ত নিলেন জোয়াকিম লাে। দল কাতার বিশ্বকাপের যােগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে নামার আগেই এই কথা ঘােষণা করতে শােনা গেল বিশ্বকাপ জয়ী এই অভিজ্ঞ কোচকে। জার্মানির কোচের পদে চলতি বছরের ইউরাে কাপই হতে চলেছে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ২০২৪ সালের ইউরাে কাপের কথা মাথায় রেখেই বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৬১ বছরের লাে। লক্ষ্য একটাই, উত্তরসূরিকে দল গুছিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া।
ঐতিহাসিক অন্নপূর্ণা মন্দির
রায়চৌধুরী পরিবারের অন্নপূর্ণা"
এখানে আমার কীসের ভয়
বছর একইসঙ্গে একই মহল্লায় একসঙ্গে আছি কখনও কি কোনও অসুবিধে হয়েছে? তবে ভয় কেন? সত্যিই তাে! কেন ভয় পেলাম? এখানে আমার কীসের ভয়?
গঙ্গোত্রীর পথে সুন্দরী হরসিল
কুয়াশার চাদর সরিয়ে মাথার উপর তুষার কিরীট পরে দাঁড়িয়ে উদ্ধত হিমালয় আর নীচ দিয়ে প্রবহমানা পান্না-সবুজ ভাগীরথী। এই দুইয়ের মাঝে সারি সারি আপেল বাগান। যেন পটে আঁকা ছবি! ঘুম জড়ানাে চোখে যখন প্রথম দেখলাম হরসিল নৈসর্গিক রূপ, সঙ্গে সঙ্গে ভালােলাগার অদ্ভুত এক শিহরন হল। মনের মধ্যে জেগে উঠল এক অমােঘ সম্মােহনের আহ্বান।
অজয়কুমার ভাণ্ডারী
অন্নদাত্রী অন্নপূর্ণা। অন্ন জীবের প্রাণ। অন্ন ভিন্ন প্রাণ বাঁচে না। তাই অন্নদাত্রী অন্নপূর্ণা হলেন জীবের প্রাণতােষিণী সঞ্জীবনী শক্তি। তিনি মাতৃশক্তির অনেক রূপের এক রূপ। পৌরাণিক মতে অন্নপূর্ণা দেবী পার্বতীর অবতার। তিনি শুধু মর্ত্যজীবের পুষ্টিদাত্রী নন, তিনি ত্রিলােকেরও পুষ্টিদাত্রী। তিনি বসুন্ধরাকে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা করে পূর্ণ রাখেন। তিনি যেমন জীবদেহকে অন্নদানে পুষ্ট রাখেন, তেমনি মুমুক্ষু হৃদয়কে পরিপুষ্ট করে মােক্ষ দান করেন। তাই তিনি সুখদা জ্ঞানদা মােক্ষদা প্রদায়িনী মাতা অন্নপূর্ণা ।
সাইনা
রাস্তায় হাঁটা আর রাস্তা তৈরি করা কিন্তু এক নয়। দুটো এক্কেবারে অন্য জিনিস। নিজের পথ তৈরির করার। কথা ভাব। ছােট্টবেলাতেই মেয়ে সাইনাকে (পরিণীতি চোপড়া) একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মা উষারানি (মেঘনা মালিক)। মেয়েও কিন্তু মাকে হতাশ করেনি। ছােট বেলাতেই আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ের মতাে রান্নাবাটি খেলেনি। বরং হাতে তুলে নিয়েছিল ব্যাডমিন্টন র্যাকেট। মায়ের ইচ্ছা আর মেয়ের চেষ্টায় হায়দরাবাদের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে সিলেকশন হয়ে যায় সাইনার। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট সাব জুনিয়র কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন। একে একে জিততে থাকে অন্য কম্পিটিশনও। মেডেল ট্রফিতে ঘর ভরে যায়। তারপর কোচ গােপীচাঁদের (মানব কল) প্রশিক্ষণ শিবিরে নাম লেখায় সাইনা। কোচের এমন প্লেয়ার চাই যে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। প্রশিক্ষণরত উঠতি প্লেয়ারদের সামনে এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসেন কোচ। বলেন, এঘরে এমন কে আছে যে নিজেকে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলােয়াড় হিসেবে মনে করে? এক মুহূর্ত সময় না নিয়ে, নির্দ্বিধায় হাত উপরে তােলে সাইনা। আর কী।
রাধাকৃষ্ণের লীলাবিলাস
বসন্তে বাংলায় দোল, বাংলার বাইরে হােলি। একই উৎসব ভিন্ন নাম, ভিন্ন স্থান। ফানে ফাগের উৎসব আপামর মানুষের উৎসব দোল বা হােলিকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি। দোল মূলত রাধা ও কৃষ্ণের অপ্রাকৃত লীলাবিলাস। ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ রাধিকা ও অন্যান্য গােপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতেছিলেন। ভগবানের সেই অপ্রাকৃত লীলাকে সাক্ষী রেখে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তেরা রাধাগােবিন্দকে আবির নিবেদন করেন। দোলকে কেন্দ্র করে নাচ, গান, আমােদ, আহ্লাদ করাটা বাহ্যিক বিষয়। দোলের মাহাত্ম্য লুকিয়ে রয়েছে রাধা-কৃষ্ণের লীলার মধ্যে। দোল এবং তাকে কেন্দ্র করে রং মাখা আসলে একটি প্রতীক। দোলের প্রধান উদ্দেশ্য ভগবানের সঙ্গলাভ।
সুখস্মৃতি ও অভিমানে দিন কাটছে অশােক কুমারের
কেউ আর মনে রাখে না। অথচ ভারতীয় হকির। সােনালি অধ্যায়ের কথা বলতে গেলে ১৯৭৫ সালের ১৫ মার্চ ভারতের হকি বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গ আসবেই। সেবার ১৫ মার্চ কুয়ালালামপুরের মাটিতে চ্যাম্পিয়নের পতাকা উড়িয়েছিলেন অজিতপাল সিংরা। সেটাই ভারতীয় হকি দলের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারতের হয়ে জয়সূচক গােল করা অশােক কুমার এই প্রসঙ্গে একরাশ অভিমান উগরে দিলেন।
মুক্তিনাথ
লুম্বিনি থেকে সকাল আটটা নাগাদ রওনা দিয়ে, পথে বেগনাস লেক দেখে, পােখরা পৌঁছতে বিকেল হয়ে গেল। হাটেলে চেক-ইন করে, আমরা বেরলাম আশপাশের জায়গাটা একটু ঘুরে দেখতে। কাছেই মার্কেট, চারদিকে কতরকম কিউরিও, ছবি, ঘর সাজানাের জিনিসের দোকান। এ দোকান সে দোকান ঘুরে দেখতে দেখতে এক