CATEGORIES
Kategorier
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।
ভিন্ন চলনের চারটি নাট্য
একক অভিনয়, মনসামঙ্গল কাব্য, নবীন প্রজন্মের স্বপ্ন ও ছোটদের নিয়ে করা নির্মল হাস্যরসের কাহিনি।
এক নির্মোহ মূল্যায়ন
আজকের রাজনীতির ধারা প্রবাহে আমাদের কাছে সত্যিই স্বপ্নলোকের বাসিন্দা মনে হয় দেশবন্ধুকে।
স্বভাবকবির উন্মোচন
সলিল চৌধুরী: পথের দাবিতে এখনও তাঁর গান হয়ে ওঠে হাতিয়ার
বিচার এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কারের দাবি
অপরাধীর বিচার চেয়ে নিশীথ রাত কোজাগরী হয়ে ওঠেনি। এখানে মিশেছে দুর্বৃত্তদের উত্থান, অনাচার এবং বুদ্ধিজীবীদের ক্ষমতাপ্রীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সমাজের সঙ্কট মোচনে সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতি অনাস্থাও লক্ষণীয়।
উৎসব আসন্ন, তাই ‘আনন্দে দু-হাত তুলি...
প্রতিবাদ আর রাত দখলের জোয়ারে সম্বৎসরের শারদোৎসবকে ভেসে যেতে দেওয়া যায় নাকি!
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।
তথ্য সংশোধন, তথ্য সংযোজন
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাঙালির স্বপ্ন গড়ার অধিনায়ক হয়েও ব্যর্থনায়ক। রাজনীতির দুর্গম পথে তিনি অক্লান্ত এক পথিক, যিনি প্রকৃত কমিউনিস্টের জীবনাদর্শকে অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন। এমন উদাহরণ সত্যিই বিরল। শুভ্রাংশু কুমার রায়, হুগলি-৭১২১৩৬
আমায় পথে নামতে বলবেন না
আমরা বুদ্ধিজীবী। আমরা শাসকের অস্বস্তি বৃদ্ধি করি না। যা পাওয়ার, সব পেয়ে গিয়েছি আমরা।
মানবিক সংগ্রামের প্রতিরূপ
ষড়যন্ত্রের চেনা ছকে বিনেশের ব্যর্থতাকে ব্যাখ্যা করলে অনুজ্জ্বল হয়ে যাবে তাঁর প্রস্তুতি ও প্রাত্যহিকতার লড়াই।
বুদ্ধদেব স্মরণে
আমি আগে সকলের সঙ্গে কথাও বলে রেখেছিলাম এ-বিষয়ে। আমি চলে গেলাম উত্তর চব্বিশ পরগনার এক জায়গায়, সেখানে একটি বাড়িতে বুদ্ধদেবকে নিয়ে আসার কথা সে দিন।
বাংলার আঁদ্রে মালরো
রাজনীতিবিদের আড়ালে বুদ্ধদেবের কবি ও প্রাবন্ধিক সত্তাকে অস্বীকার করা যায় না কোনওভাবেই
কর্তৃত্ববাদ বিরোধী
যেমন শিক্ষালয়ে ছুঁতমার্গ, বা আধুনিক শিল্পস্থাপনে কিছু রাজ্যকে অপাঙ্ক্তেয় মনে করা। সারাজীবনই বুদ্ধদেব চেয়েছিল ডমিনেশনের বিরুদ্ধে কথা বলতে।
তবুও মানব থেকে যায়
বামফ্রন্ট সরকার সম্পর্কে তথ্যাদি সংগৃহীত বামফ্রন্ট সরকার: একটি পর্যালোচনা শীর্ষক নথি থেকে